ছোট একটা গল্প বলি--------
একটি উচ্চবিত্ত ঘরের ছেলে ভালবাসত একটি মধ্যবিত্তের ঘরের মেয়েকে।ছেলেটি তাকে অনেক অনেক ভালবাসত।আজ শুক্রবার ছেলেটিকে নিয়ে মেয়েটির বেড়াতে যাওয়ার কথা। সকাল বেলা ছেলেটি মেয়েটিকে কল করলে সে মেয়েটি তাকে বলল সে খুব অসুস্থ। যার কারণে সকাল থেকে সে কিছুই খায়নি। মেয়েটি আজ বিকালে সে বেরও হতে পারবেনা। মেয়েটি অসুস্থতার কারণে ভালোভাবে কথা বলতে না পারায় ছেলেটি ফোন রেখে দিল। সেদিন ছেলেটি তার পরিবারের সাথে দুপুরে খাবার খেতে বসলো , খাবার টেবিলে হরেক রকম খাবার সাজানো। হঠাৎ তার মনে হলো তার ভালবাসার মানুষটি সকালে তাকে বলেছিল সে অসুস্থ আর অসুস্থতার কারণে সে সকালের নাস্তাও করেনি। এমন সময় ছেলেটি তাকে আবার কল করে তার অসুস্থতার খবর নিল এরপর ছেলেটি আবার খাবার টেবিলে এসে খেতে বসলো। ছেলেটি মুখে তখন মনে পড়ল তার ভালবাসার মানুষটি দুপুরের খাবার খায়নি। ছেলেটির পেতে আর খাবার গেলো না। নানা বাহানায় সে উঠেগেলো খাবার টেবিল থেকে।
বিকাল হল। ছেলেটি খারাপ করে বসে রইলো। শুধু মেয়েটিকে অনুভব করতে থাকল। সকাল থেকে মেয়েটি একবার তার সাথে ভালোভাবে কথা বলে নাই। ছেলেটির খুব ইচ্ছা হলো তার একটু খবর নেওয়ার কিন্তু মেয়েটিকে যখন কল করলো তখন মেয়েটি খুব ফিস ফিস করে বলল তার মাথায় পানি দিবে তাই এখন সে কথা বলতে পারবে না। ছেলেটি ফোন রেখে দিলেও শান্তি পাচ্ছিল না কোনভাবেই। কোনো কিছুই তার ভালো লাগছিল না। ভাবলো মেয়েটির বাসার সামনে থেকে একটু ঘুরে আসবে কিনা ?মানুষ সান্তনা পাবার জন্য কত কিছুই না খুঁজে। যেই ভাবা সেই কাজ ছেলেটি রওয়ানা দিল মেয়েটির বাসার দিকে। যাওয়ার পথে হঠাৎ অপর দিক থেকে আসা একটি সিএনজি তে একপলকে যেন খুব পরিচিত একটা মুখ নজরে আসলো। না সে ভুল করেনি এটা তারই মুখ যাকে সে অনেক ভালবাসে।
খুব ভীত হয়ে ছেলেটি সেই সিএনজির পিছনে ছুটল। তার মনে খুব আতঙ্ক যে তার কি হলো ? কেন সে সিএনজিতে? হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নাতো তাকে আবার ? হাজার ভাবনা খেলা করছে তার মাথা। একসময় সিএনজি থামল একটি পার্কের গেট সামনে এবং বেরিয়ে এলো মেয়েটি হা তার ভালবাসার মানুষটিই। সাথে আর একটি সুদর্শন ছেলে। দেখে যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ল তার মাথায়। বুকে তার ব্যাথা হচ্ছিল প্রচন্ড। নীল রঙের কাপড়ে তাকে খুব সুন্দর লাগছিল যদিও মেয়েটির সূন্দুর্য আজ তার জন্য না।
এর চেয়ে বড় কোনো কষ্ট আর কি পারে ছেলেটির জানাছিল না যখন ছেলেটি দেখল তারই ভালবাসার মানুষ হাত ধরে রয়েছে অন্য আর একজনের। সে সব লক্ষ্য করতে থাকলো। এরইমাঝে ছেলেটি কয়েকবার কল দিল সেই মেয়েটির মোবাইলে মেয়েটি একবারও রিসিভ করল না। ছেলেটি কিছুটা দূর থেকে সব দাড়িয়ে দেখছিল।
বিকাল সন্ধ্যা। সন্ধ্যার অন্ধকার যেন বয়ে আনলো ছেলেটির জীবনের পরম দৃশ্য যেটা ভালবাসার মানুষ হিসেবে সহ্য করার ক্ষমতা কতজনের আছে জানি না। ছেলেটি আর থাকতে পারল না সেখানে যখন দেখল তারই ভালবাসার মানুষ সপে দিল নিজেকে সেই ছেলেটির কাছে আর এখন সন্ধ্যার অন্ধকার আলোতে ছেলেটির হাত খেলা করছে সেই মেয়েটির সম্পূর্ণ শরীরে।
রাত তখন ১২ টা। ছেলেটি ফুপিয়ে ফুপিয়ে সেই সন্ধ্যা ৮ টা থেকে কাদছে। ঠিক এমন সময় কল আসল মেয়েটার। রিসিভ করতে ইচ্ছা না করলেও কি বলে সেটা শুনার জন্য তার কলটা ধরল ছেলেটি।
ছেলে- হা বল।
মেয়ে - কি হলো তোমার ?
ছেলে - কোথায় কি হলো?
মেয়ে - সন্ধ্যা থেকে একবার আমার খবর নিলানা তুমি ?তুমি কি যেন না আমি অসুস্থ?তুমি বিকালে কল দিয়েছিলে কিন্তু তখন আম্মু আমার মাথায় পানি দিচ্ছিল তাই রিসিভ না করে কেটে দিয়ে ছিলাম কিন্তু এরপরে তুমি আর আমাকে একবার কাল দাওনি। ছেলেরা এমনি হয় স্বার্থপর। এই বলে মেয়েটাই রাগ করে ফোন কেটে দেয়। এরপর মেয়েটি আর কোনদিন তাকে কল দেয়নি ছেলেটার অপরাধ ছিল এটাই যে সে তাকে আর সন্ধ্যার পর কল দেয়নি আর এটাই ছিল মেয়েটির। বাহানা
এই ছিল আমার গল্প আসলে এটা একটা সত্যি কাহিনী।
উপরের গল্পটার মত হাজারো গল্প আমি খুঁজে পাবেন তার মাঝে হয়ত এমন কিছু গল্প থাকবে যেগুলো পরে আমার এই গল্পটা তুচ্ছ মনে হবে।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন