সময়ের স্রোতের ভেলায় আধখেঁচড়া বছরের
শেষ সূর্যটিও অস্তে যাচ্ছে অনাবৃষ্টির যাতনে ।
ড্যাবরা চোখে তাকিয়ে গিলছি ব্যাঙ্গমীর দুর্বাক্য।
তোমার ক্রোধানলে ছোঁড়া শেষ প্রতিজ্ঞাবাণে
আজ বুঝি ধুঁলোয় লুটোতেই হবে চিরন্তনে।
দিগন্তরেখা ছোঁয়ার মত বিস্ময়কর প্রত্যাশায় লালিত -
কোনো এক ঋতুতে তোমার প্রত্যাগমনের উন্মাদ স্বপ্ন,
কালবৈশাখের মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, সাথে ঝড়ের তান্ডব
জীবনাশঙ্কা ভুলে অনিমেষে দেখেছি তোমার চলে যাওয়া।
ছন্দে-বন্দে গ্রীষ্ম কাটিয়েছি অক্ষুব্ধ চিত্তে,
অস্পন্দিত হৃদয়ের উপাসনা ছিলো বর্ষার তরে,
খরতাপের যন্ত্রণায় অভিমান ভুলে তুমি আসবে
কদম্ব তলে হৃদয় ভেজাবে আষাঢ়ের জলে,
ঝিরিঝিরি বৃষ্টির সুরের ঝংকারে মুছে যাবে যত নির্লিপ্ততা।
শরৎ-এর মেঘহীন জাজ্বল্য-মান নগ্ন ক্যানভাসে
অশ্রু রঙে এঁকে ছিলাম চন্দ্রামুখির পুষ্পাহাসি।
শ্যাওলা আবৃত বুক ছেঁদ করে বালি-হাঁসের ডানায় চঁড়ে,
ভেবেছিলাম তুমি আসবে কাশফুল হাতে কিংবা হাসনাহেনা।
অপার্থিব শূন্যতার ক্লেশে শরৎ মুখ লুকায় হেমন্তের চাঁদরে।
নবান্নের খিড়কি খুলে যায় ঝিলে দেখি নীলপদ্মের সমারোহ।
অবরুদ্ধ অশ্রুতে তোমার চরণ ভেজাবো বলে ছিলাম অপেক্ষায়,
হৃদয়ের কার্নিশে দুর্বুদ্ধি নিয়ে জমাট বাঁধা হিম প্রবাহে
অনাত্মজ্ঞ প্রহেলিকা খুঁজে ফেরে উষ্ণতার আলিঙ্গন,
সফেদ কুয়াশায় আচ্ছাদিত নয়নে খুঁজে ফিরি তোমাকে,
ভেবেছিলাম তুমি আসবে মাঘোত্সবের মাদল বাজিয়ে।
নবোদিত প্রভায় স্পষ্টত হয়েছিল সদ্যফোটা কৃষ্ণচূঁড়া,
কোকিলের কুহু ডাকে শঙ্কিত হৃদয় মাতে হোলি খেলায়।
ভেবেছিলাম কালোমেঘ তুমি বৃষ্টি হয়ে ঝরবে চৈত্রের খরায়
কিন্তু তুমিতো আর এলে না !
শেষ সূর্যটিও অস্তে যাচ্ছে অনাবৃষ্টির যাতনে ।
ড্যাবরা চোখে তাকিয়ে গিলছি ব্যাঙ্গমীর দুর্বাক্য।
তোমার ক্রোধানলে ছোঁড়া শেষ প্রতিজ্ঞাবাণে
আজ বুঝি ধুঁলোয় লুটোতেই হবে চিরন্তনে।
দিগন্তরেখা ছোঁয়ার মত বিস্ময়কর প্রত্যাশায় লালিত -
কোনো এক ঋতুতে তোমার প্রত্যাগমনের উন্মাদ স্বপ্ন,
কালবৈশাখের মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, সাথে ঝড়ের তান্ডব
জীবনাশঙ্কা ভুলে অনিমেষে দেখেছি তোমার চলে যাওয়া।
ছন্দে-বন্দে গ্রীষ্ম কাটিয়েছি অক্ষুব্ধ চিত্তে,
অস্পন্দিত হৃদয়ের উপাসনা ছিলো বর্ষার তরে,
খরতাপের যন্ত্রণায় অভিমান ভুলে তুমি আসবে
কদম্ব তলে হৃদয় ভেজাবে আষাঢ়ের জলে,
ঝিরিঝিরি বৃষ্টির সুরের ঝংকারে মুছে যাবে যত নির্লিপ্ততা।
শরৎ-এর মেঘহীন জাজ্বল্য-মান নগ্ন ক্যানভাসে
অশ্রু রঙে এঁকে ছিলাম চন্দ্রামুখির পুষ্পাহাসি।
শ্যাওলা আবৃত বুক ছেঁদ করে বালি-হাঁসের ডানায় চঁড়ে,
ভেবেছিলাম তুমি আসবে কাশফুল হাতে কিংবা হাসনাহেনা।
অপার্থিব শূন্যতার ক্লেশে শরৎ মুখ লুকায় হেমন্তের চাঁদরে।
নবান্নের খিড়কি খুলে যায় ঝিলে দেখি নীলপদ্মের সমারোহ।
অবরুদ্ধ অশ্রুতে তোমার চরণ ভেজাবো বলে ছিলাম অপেক্ষায়,
হৃদয়ের কার্নিশে দুর্বুদ্ধি নিয়ে জমাট বাঁধা হিম প্রবাহে
অনাত্মজ্ঞ প্রহেলিকা খুঁজে ফেরে উষ্ণতার আলিঙ্গন,
সফেদ কুয়াশায় আচ্ছাদিত নয়নে খুঁজে ফিরি তোমাকে,
ভেবেছিলাম তুমি আসবে মাঘোত্সবের মাদল বাজিয়ে।
নবোদিত প্রভায় স্পষ্টত হয়েছিল সদ্যফোটা কৃষ্ণচূঁড়া,
কোকিলের কুহু ডাকে শঙ্কিত হৃদয় মাতে হোলি খেলায়।
ভেবেছিলাম কালোমেঘ তুমি বৃষ্টি হয়ে ঝরবে চৈত্রের খরায়
কিন্তু তুমিতো আর এলে না !
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন