"আপনাদের সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি , ইদানিং দূতাবাসের ভিতরে পকেটমারের উপদ্রব বেড়ে গেছে। আপনারা আপনাদের পকেট সাবধানে রাখবেন "
দুবাই -এ অবস্থিত বাংলাদশ দুতাবাস কতৃপক্ষ একটু একটু পর পর যখন এই সতর্কমুলুক বার্তাটি ঘোষণা করছিল তখন একটু বিরক্ত না হয়ে আর পারলাম না। লজ্জিতও হলাম বটে এই ঘোষণাটি শুনে। কেন লজ্জিত হলাম সেটাই বলতে যাচ্ছি। দুবাই-এর সাথে আমি আমার সোনার দেশের তুলুনা করতে চাই না। তবে তার পরও কিছু কথা আজ না বলে পারলাম না। আজকাল আমি একটু বেশি কথা-ই বলে ফেলছি। দু'কলম লিখাপড়া করেই সুযোগ পেলে দু'একটি বিবেক তাড়িত বাক্য হঠাৎ করে অনিচ্ছাকৃতভাবেই বের হয়ে যায়।
বিশ্বের মানচিত্রে বর্তমানে দুবাই একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। বিশ্বের ১৮৮টি দেশের নাগরিকের অবস্থান এই ক্ষুদ্র দেশটিতে। অনেকে এসেছেন কোনো চাকুরী নিয়ে আবার অনেকে এসে গড়েছেন বিভিন্ন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। আমি আজ গত ৪ বছর ধরেই একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছি। আমার এই ৪ বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে একটি কথা আমি বলতে পারি যে, আমাদের বাংলাদেশের নাগরিকদের এখানে খুব হেয় করে দেখা হয়। বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে কিভাবে দেখা হয় সেই সম্পর্কে আমার তেমন কোনো ধারণা নেই তবে দুবাই -তে বাংলাদেশী নাগরিকদের যে হেয় করে দেখা হয় তার কোনো সন্দেহ নেই।
একটি প্রবাদ বাক্যে পরেছিলাম যে, কেউ তোমার পিঠে চড়তে পারবে না যতক্ষণ তুমি তোমার পিঠ নিচু না করো। কথাটি এজন্য বললাম কারণ আমরা নিজেরাই আসলে আমাদেরকে হেয় করে দেখার পথটি সুদৃঢ় করে দিয়েছি তাদের। আমরা আমাদের কর্মকান্ড দ্বারা নিজের জাতিকে করেছি কলঙ্কিত। যার কারণে বাঙালি নামটি শুনলেই এদেশের মানুষের মুখে একটি কালো মেঘের আবরণ পরে যায়। মনে করেন আমি কারো সাথে বিগত এক ঘন্টা ধরে কথা বলছি, অনেক মিষ্টি মধুর কথা, তবে সে যখন একটি ঘন্টা পর জানে যে আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক তখন তার মুখে আর আগের রস-কস থাকে না। তবে তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই। সে আমার সাথে ভালো/খারাপ যেভাবেই কথা বলুক না কেন তাতে আমার কিছু আসে যায় না তবে অবশ্যই আমার জাতির কিছু আসে যায়, আর আমার জাতির উপর যেটা আসে সেটাতো আর মেনে নিতে পারি না। তারা আমাদেরকে আসলেই আমাদের জাতিকে খুব নগন্য মনে করে তবে তার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী।
এবার সর্ব প্রথমে আপনাদের যে সতর্কবাক্যটি শুনিয়েছি সেটা দুবাই-এ অবস্থিত বাংলাদেশের দুতাবাস কতৃপক্ষের সতর্কবার্তা। আপনারা হয়ত বলতে পারেন এখানে লজ্জা পাওয়ার কি আছে এটি তো একটু সতর্কমুলুক বার্তা। লজ্জাটা এজন্য পেলাম কারণ এই দেশে হত্যা, গুম, চুরি, ডাকাতির সংবাদ তেমন একটা চোখে পরে না। আমি কিন্তু বলছিনা না যে এসব ঘটনা ঘটে না, সব দেশেই এসব ঘটে থাকে তবে সচরাচর লক্ষনীয় নয়। এদেশে বসবাসরত সবাই এই দেশের আইন কানুনের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে থাকে আর এটা করাটাই স্বাভাবিক কারণ আমি যখন আমার দেশ থকে বাহিরে আসব তখন আমাকে ওই দেশের আইন-কানুন অবশ্যই মেনে চলতে হবে। এখানে একটি অর্ধ-বসনা নারী মধ্যরাতে একা রাস্তাতে চলতে কোনো দ্বিধাবোধ করে না। মানুষ এখানে দ্বিধাবোধ করে না সাথে টাকা নিয়ে চলতে। স্বীকার করতে হবে আমাকে যে এই দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আজও তাদের দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন না হওয়ার লক্ষে কাজ করার চেষ্টা কে যাচ্ছে। এই দেশে বসবাসরত ভিনদেশি নাগরিকদের মধ্যে এই দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা পরিলক্ষিত। এই দেশে সামান্য একটি পানির বোতল যেখানে সেখানে ছুঁড়ে না ফেলে সবাই ময়লা ফেলার সুনির্দিষ্ট ঝুঁড়িতে ফেলে পাছে না কেউ দেখে আবার জরিমানা দিতে হয়। এমন ভাবে আইন পরিচালনার পরও আমাদের বাংলাদেশী দুতাবাসথেকে যখন প্রতিনিয়ত সতর্কবাণী দিয়ে যাচ্ছে পকেট মার থেকে সাবধান থাকার জন্য সেটা আমার কাছে লজ্জাকরই মনে হয়েছে।
আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক এবং আমরাও আজ যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে জানি অথবা চেষ্টা করছি তাল মিলিয়ে চলার জন্য। আমি মনে করি আজ যদিও আমরা পিছিয়ে রয়েছি শুধু আমাদের সহমর্মিতা, শ্রদ্ধা, ভালবাসা, মূল্যবোধের অভাবে যা আমরা আমাদের চেতনায় আজও ধারণ করতে পারিনি। নিজের এবং নিজের পরিবারের মুখে একটু হাসি, একটু সচ্ছল ভাবে জীবন ধারনের লক্ষে আপন দেশের মাটি ছেড়ে আমরা পাড়ি জমায় বিদেশের মাটিতে। অর্থ উপার্জন করার উদ্দেশে এখানে আমাদের আসা তবে তার মানে এই নয় যে সেই অর্থটি উপার্জন করতে হবে কোনো অবৈধ পথে। আমাদের দেশের শত শত নাগরিক আজ এই দেশে এসে জড়িত হয়ে পরেছে অনেক অবৈধ কর্মকান্ডে। ভিন দেশে এসেও এখানে পরিকল্পনার করা হয় ব্যাংক লুটের মত বড় অবৈধ কাজ। আর যেই কাজগুলো আমাদের দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে দিচ্ছে। অপমান করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত আমাদের।
বেশি বকবক করে আমি আর কি করব বলেন? ঘোড়াকে জোর করে পানিতে নামানো যাবে কিন্তু জোর করে পানি পান করানো যাবে না। নিজেরাই যদি নিজেদের ও নিজের দেশের স্বার্থের জন্য নিজের নৈতিক মূল্যবোধকে না জাগাই তাহলে অন্য কেউ আর তা জাগিয়ে দিতে পারবে না।
এবার সর্ব প্রথমে আপনাদের যে সতর্কবাক্যটি শুনিয়েছি সেটা দুবাই-এ অবস্থিত বাংলাদেশের দুতাবাস কতৃপক্ষের সতর্কবার্তা। আপনারা হয়ত বলতে পারেন এখানে লজ্জা পাওয়ার কি আছে এটি তো একটু সতর্কমুলুক বার্তা। লজ্জাটা এজন্য পেলাম কারণ এই দেশে হত্যা, গুম, চুরি, ডাকাতির সংবাদ তেমন একটা চোখে পরে না। আমি কিন্তু বলছিনা না যে এসব ঘটনা ঘটে না, সব দেশেই এসব ঘটে থাকে তবে সচরাচর লক্ষনীয় নয়। এদেশে বসবাসরত সবাই এই দেশের আইন কানুনের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে থাকে আর এটা করাটাই স্বাভাবিক কারণ আমি যখন আমার দেশ থকে বাহিরে আসব তখন আমাকে ওই দেশের আইন-কানুন অবশ্যই মেনে চলতে হবে। এখানে একটি অর্ধ-বসনা নারী মধ্যরাতে একা রাস্তাতে চলতে কোনো দ্বিধাবোধ করে না। মানুষ এখানে দ্বিধাবোধ করে না সাথে টাকা নিয়ে চলতে। স্বীকার করতে হবে আমাকে যে এই দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আজও তাদের দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন না হওয়ার লক্ষে কাজ করার চেষ্টা কে যাচ্ছে। এই দেশে বসবাসরত ভিনদেশি নাগরিকদের মধ্যে এই দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা পরিলক্ষিত। এই দেশে সামান্য একটি পানির বোতল যেখানে সেখানে ছুঁড়ে না ফেলে সবাই ময়লা ফেলার সুনির্দিষ্ট ঝুঁড়িতে ফেলে পাছে না কেউ দেখে আবার জরিমানা দিতে হয়। এমন ভাবে আইন পরিচালনার পরও আমাদের বাংলাদেশী দুতাবাসথেকে যখন প্রতিনিয়ত সতর্কবাণী দিয়ে যাচ্ছে পকেট মার থেকে সাবধান থাকার জন্য সেটা আমার কাছে লজ্জাকরই মনে হয়েছে।
আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক এবং আমরাও আজ যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে জানি অথবা চেষ্টা করছি তাল মিলিয়ে চলার জন্য। আমি মনে করি আজ যদিও আমরা পিছিয়ে রয়েছি শুধু আমাদের সহমর্মিতা, শ্রদ্ধা, ভালবাসা, মূল্যবোধের অভাবে যা আমরা আমাদের চেতনায় আজও ধারণ করতে পারিনি। নিজের এবং নিজের পরিবারের মুখে একটু হাসি, একটু সচ্ছল ভাবে জীবন ধারনের লক্ষে আপন দেশের মাটি ছেড়ে আমরা পাড়ি জমায় বিদেশের মাটিতে। অর্থ উপার্জন করার উদ্দেশে এখানে আমাদের আসা তবে তার মানে এই নয় যে সেই অর্থটি উপার্জন করতে হবে কোনো অবৈধ পথে। আমাদের দেশের শত শত নাগরিক আজ এই দেশে এসে জড়িত হয়ে পরেছে অনেক অবৈধ কর্মকান্ডে। ভিন দেশে এসেও এখানে পরিকল্পনার করা হয় ব্যাংক লুটের মত বড় অবৈধ কাজ। আর যেই কাজগুলো আমাদের দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে দিচ্ছে। অপমান করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত আমাদের।
বেশি বকবক করে আমি আর কি করব বলেন? ঘোড়াকে জোর করে পানিতে নামানো যাবে কিন্তু জোর করে পানি পান করানো যাবে না। নিজেরাই যদি নিজেদের ও নিজের দেশের স্বার্থের জন্য নিজের নৈতিক মূল্যবোধকে না জাগাই তাহলে অন্য কেউ আর তা জাগিয়ে দিতে পারবে না।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন