নারকীয় বিদীর্ণ কষ্টগুলো বক্ষে চেপে চলে এসো তুমি
সামনের সরল পথ ধরে নির্দ্বিধায় তিমিত নক্ষত্রলোকে
অন্তর্গূঢ় দীপ্তিময় প্রেমে অংকিত মোর নখদর্পণে তুমি।
নগনদীর স্রোতে ভাসিয়ে দিও মেঘাড়ম্বর সুখগুলোকে।
মোহনচূড়ার ঠোকরে জীর্ণদেহে চলে এসো দীপাধারে
কণ্টকীকানন পিছনে ফেলে পার হয়ে এসো পুষ্পসেতু।
জারুল বনের পাশে বয়ে যাওয়া তটিনীর অভিসারে
দিব্যলোকে তোমার অপেক্ষায় নিত্য সাঁজে ধুমকেতু।
অবিশ্বাসের বাজার থেকে তুমি চলে এসো নগ্ন পায়ে
নক্তচারী শশীর জোত্স্নায় নুন ঝড়িয়ে হও পূর্ণমাসী।
দিবান্ধের কলঙ্ক মুছে ফেল মেখে নিয়ে ধুপছায়া গায়ে
দিনান্তের মৃদু পবনে হৃদয় হবে তোমার পূণ্যকাশী।
নিঃসঙ্গতার উননের পাশ থেকে চলে এসো বাহুতলে,
দ্যোতনাময় চাহনিতে চরণ ভরিয়ে দিব নীলকমলে।
হংসমালা ভাসবে ভর দুপুরে উদ্ভাসিত পরম দীঘিজলে,
প্রগাঢ় উষ্ণতায় বিগলিত চিত্তে ঠাই দিও তুমি আঁচলতলে।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন