আমি চির তরে দূরে চলে যাবো
তবু আমারে দিবোনা ভুলিতে,
আমি বাতাস হইয়া, জড়াইবো কেশ
বেনী যাবে যবে খুলিতে।
তোমার সুরের নেশায় যখন
ঝিমাবে আকাশ, কাদিঁবে পবন,
রোদন হইয়া আসিব তখন
তোমারো বক্ষে দুলিতে।
আসিবে তোমার পরম উৎসব
কত প্রিয়জন, কে জানে
মনে পড়ে যাবে কোন সেই ভিখারী
পাইনি ভিক্ষা এখানে।
তোমার কুঞ্জ পথে যেতে হায়
চমকে থামিয়া যাবে বেদনায়
দেখিব কে যেন মরে পড়ে আছে
তোমার পথের ধূলিতে।।
সন্ধ্যার মন্থর গতিতে বহমান বাতাসে সাথে উড়ছে বিন্ধ্যার কালো কেশ। বাতাস যেন তার কেশে খেলা করছে নিবিড় সন্তর্পণে। আর কাজী নজরুলের কবিতা দোলা দিচ্ছে মনের গহীনে। বাতাস আর কাব্যের বন্ধুত্ব পুরনো হলেও বিন্ধ্যার কাছে এই বন্ধুত্বকে আজ নিতান্তই ক্লেশ নিপীড়নের সহযোদ্ধা মনে হল। ভাবনার অতল মহাসাগরে ডুবে বিন্ধ্যা, ছুটে যেতে চায় মন খড়-কুটো দিয়ে তৈরি আবাসে আবার ক্ষনিকেই শ্যাওলা পরা দেয়ালে বন্দী হয়ে যায় মন।
মায়ের ডাকে হঠাৎ সম্বিৎ ফিরে এলো। মা কখন যে পিছনে আসে দাড়িয়েছে তা বিন্ধ্যা বলতেই পারবে না। মায়ের দিকে তাকিয়ে একটি দীর্ঘনিশ্বাস ফেলল, নিশ্বাসে ছিল মাতাল ভাবনার গাঢ় স্বাদ।
-মা কখন এসেছ ?
-এইতো কিছুক্ষণ
-কিছু বলবে ?
-হ্যাঁ, তুই তৈরী হয়ে নে। মেহমানরা সবাই চলে এসেছে। তাড়াতাড়ি আয় তুই। আর হ্যাঁ সমুদ্র ফোন করেছিল। তোর সাথে নাকি কথা আছে।
-আচ্ছা ঠিক আছে তুমি যাও আমি আসছি।
এই অল্প কথাতে মাকে বিদায় দিয়ে সাথে সাথে উঠে আসে জানালার পাশ থেকে। দু'হাতে বন্ধ করা জানালাটির ওপাশে পরে থাকে স্মৃতিপথ যা শুধু আজ ধুলায়িত ঊষর মরুভূমি।
বিন্ধ্যার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে সমুদ্রের সাথে।আজ গায়ে হলুদ কাল বিয়ে। সারাটি বাড়ি জুড়ে মাছের বাজার বসেছে। আত্মীয় স্বজন সবাই যেন পুরো বাড়িটিকে আসলেই মাছের বাজারে পরিনত করেছে। অসহ্য লাগছে বিন্ধ্যার এই সব আলোকসজ্জা আর হৈ চৈ। অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেও পরিবারের সবার চাপে পরে গায়ে হলুদের সব অনুষ্ঠান শেষ করে ক্লান্ত দেহে লুটিয়ে পরেছে বিছানায়। আজ রাত্রিটি হবে শেষ একাকিত্বের রাত্রি তার জীবনে। কাল থেকে পাশে শায়িত থাকবে সমুদ্র। এই ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছে সে নিজেই জানে না। চলে যায় ঘুমের রাজ্যে, ফেলে যায় পৃথিবীর করুন বাস্তবতা।
মাঝ রাতে আচম্বিত মৃদু শব্দে কারো নড়াচড়া অনুভত হয় অন্ধকার ঘরটিতে। নাম ধরে ডাকা অস্পষ্ট শব্দ বিন্ধ্যার কানে আসে। শব্দটা অস্পষ্ট হলেও চিনে নেয় বিন্ধ্যা, চেনা স্বর যা কখনো ভুলা যায় না। অরণ্য বিন্ধ্যার পাশে এসে বসে আলতো করে কপলা হাত রাখে।
-তুমি আজ ঘুমাচ্ছ কেন বিন্ধ্যা ?আজতো ঘুমানোর কথা ছিল না তোমার, তোমার মেহেদী রাতে চুপি চুপি কুঞ্জকাননে দেখা করার কথা ছিল। কথা ছিল সঙ্গোপনে রাতে চাঁদের জোত্স্নাতে অঙ্কিত করবো কলঙ্ক। তোমার মেহেদির রঙে সমুদ্র হবে লোহিত বর্ণ। অনেক কথাই তো ছিল কিন্তু আজ তোমার মেহেদী রাত তুমি ঘুমিয়ে আছ কেন ? চল যাই দেখো দূরে হিন্দোলের সুরে আজ নাচব আমরা। কালতো তোমার বিয়ে আর হয়ত যাওয়া হবে না কুঞ্জকাননে। চল শেষবারের মত।
-না অরণ্য, তুমিও কথা দিয়ে কথা রাখোনি আমার সাথে। সেদিন আমাকে বলেছিলে তুমি আসবে কিন্তু আসনি। আমি অপেক্ষায় ছিলাম তোমার, চেয়েছিলাম তোমার আসার সেই চির সচেনা পথে যেই পথে যেখানে আমি আর তুমি হেটেছি ক্লান্তিহীন হয়ে অবিরাম। তুমি আমাকে সান্তনার বাণী শুনিয়েছিলে সেদিন বলেছিলে তুমি আসবেই। তোমার অপেক্ষা করতে করতে আমি ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। তুমি আসনি দেখে অভিমান করেছিলাম তোমার উপর। সেই অভিমানে আর অপেক্ষা না করেই আমি চলে আসি। অনেক ক্লান্ত লেগেছিল আমার সেদিন একা পথ চলতে তুমি পাশে ছিলে না বলে নীরব পথটির ধারে জেগে থাকা শত বৃক্ষের শাখাগুলোও আমার দিকে ছুটে আসছিল। কুঁয়াশার সাথে শশ্মানের জলন্ত আগুনের ধোঁয়া মিশে যায় আর আমি সেই ধোঁয়াশায় পথ চলতে চলতে ফিরে এসেছিলাম। আজ আর আমার কুঞ্জকাননে যাওয়া হবে তোমার সাথে। কথা দিয়েছিলাম মেহেদির লাল রঙে সমুদ্র লাল টুকটুকে করে দিব কিন্তু চেয়ে দেখো আমার মেহেদির রং আজ ধূসর রঙের। আজ আর যাব না তুমি ফিরে যাও। কাল সমুদ্রের সাথে আমার বিয়ে। এখন আমি আর তোমার কোনো কলঙ্কের বোঝা বইতে পারব না। তুমি ফিরে যাও। আমি যাব না কুঞ্জকাননে।
-তুমি কি পারবে আমাকে ভুলে যেতে।তোমার জানালার পাশে দাড়িয়ে দেখেছি সন্ধ্যায় তুমি কাজী নজরুলের আমি চিরতরে দূরে চলে যাব কবিতাটি পরেছিলে, আমি তো সেই কবিতার মত বারে বারে ফিরে আসবো তোমার কাছে বিভিন্ন ছদ্মবেশে।
অরন্যের কথা শুনে মুহুর্তেই বিন্ধ্যা শান্ত হয়ে যায়। ভুলে যায় শত অভিমান।
-তুমি কেন সেদিন আমাকে কথা দিয়ে কথা রাখলে না বল অরণ্য? কেন তুমি তোমার হৃদয় ক্যানভাসে অঙ্কিত করলে আমায় শুভ্র শাড়িতে ?কেন কথা দিয়ে কথা রাখলে না। তুমি তো জানতে তোমাকে ছাড়া আমার এই পৃথিবীতে কোনো স্বাদ নেই। তুমি যখন এসেছই আজ আমাকে একেবারে নিয়ে চল তোমার সাথে।
-না বিন্ধ্যা, আজ আর তা হয় না, আজ তোমার বিয়ে আর তাছাড়া আমি চাইলেই তোমাকে আমার সাথে নিয়ে যেতে পারি না অথবা তুমি চাইলেই আমার সাথে যেতে পর না আজ। কারো ইচ্ছাতেই আজ যাওয়া হবে না। আমি তোমার পাশে তো সব সময়ই থাকব তুমি একা নও। আমার ঘড়ির কাটা আজ থেমে গেলেও আমি তোমাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাব নিরন্তর। অভিমান করো না আর আমার সাথে তুমি কোনদিন। আমি তোমার নিশ্বাসের শব্দ হয়ে তোমার পাশে রব চিরকাল।
-আজ আমি তোমার সাথে যাবই। আমাকে সাথে করে নিতেই হবে তোমার।
-আজও কি তুমি সেই একরোখা রয়ে গেলে ?
-আমি যে পরিবর্তন হতে জানি না আকাশের মত রং বদলাতে পারি না।
-তুমি সত্যি যাবে আমার সাথে?
-আমি মিথ্যে বলিনি কখনো, আমি মিথ্যে বলি না, নিয়ে চল আমায়, আমি আজ তোমার আচড়ে কলঙ্কিত হতে চাই।
অরণ্য ও বিন্ধ্যা দুজন দুজনার হাত ধরে হেটে চলছে প্রিয় কুঞ্জকাননে। ধীরে ধীরে দু'জনে মিশে যাচ্ছে অন্ধকারের আবছাতে।
সমুদ্রের ছোট বেলা থেকেই ইচ্ছা তার বউকে পালকিতে করে আনবে। তার ভাবনা অনুযায়ী সে পালকি নিয়েই এসেছে আজ বিন্ধ্যার বাড়িতে,বিন্ধ্যাকে বউ করে নিয়ে যাবে।
তবু আমারে দিবোনা ভুলিতে,
আমি বাতাস হইয়া, জড়াইবো কেশ
বেনী যাবে যবে খুলিতে।
তোমার সুরের নেশায় যখন
ঝিমাবে আকাশ, কাদিঁবে পবন,
রোদন হইয়া আসিব তখন
তোমারো বক্ষে দুলিতে।
আসিবে তোমার পরম উৎসব
কত প্রিয়জন, কে জানে
মনে পড়ে যাবে কোন সেই ভিখারী
পাইনি ভিক্ষা এখানে।
তোমার কুঞ্জ পথে যেতে হায়
চমকে থামিয়া যাবে বেদনায়
দেখিব কে যেন মরে পড়ে আছে
তোমার পথের ধূলিতে।।
সন্ধ্যার মন্থর গতিতে বহমান বাতাসে সাথে উড়ছে বিন্ধ্যার কালো কেশ। বাতাস যেন তার কেশে খেলা করছে নিবিড় সন্তর্পণে। আর কাজী নজরুলের কবিতা দোলা দিচ্ছে মনের গহীনে। বাতাস আর কাব্যের বন্ধুত্ব পুরনো হলেও বিন্ধ্যার কাছে এই বন্ধুত্বকে আজ নিতান্তই ক্লেশ নিপীড়নের সহযোদ্ধা মনে হল। ভাবনার অতল মহাসাগরে ডুবে বিন্ধ্যা, ছুটে যেতে চায় মন খড়-কুটো দিয়ে তৈরি আবাসে আবার ক্ষনিকেই শ্যাওলা পরা দেয়ালে বন্দী হয়ে যায় মন।
মায়ের ডাকে হঠাৎ সম্বিৎ ফিরে এলো। মা কখন যে পিছনে আসে দাড়িয়েছে তা বিন্ধ্যা বলতেই পারবে না। মায়ের দিকে তাকিয়ে একটি দীর্ঘনিশ্বাস ফেলল, নিশ্বাসে ছিল মাতাল ভাবনার গাঢ় স্বাদ।
-মা কখন এসেছ ?
-এইতো কিছুক্ষণ
-কিছু বলবে ?
-হ্যাঁ, তুই তৈরী হয়ে নে। মেহমানরা সবাই চলে এসেছে। তাড়াতাড়ি আয় তুই। আর হ্যাঁ সমুদ্র ফোন করেছিল। তোর সাথে নাকি কথা আছে।
-আচ্ছা ঠিক আছে তুমি যাও আমি আসছি।
এই অল্প কথাতে মাকে বিদায় দিয়ে সাথে সাথে উঠে আসে জানালার পাশ থেকে। দু'হাতে বন্ধ করা জানালাটির ওপাশে পরে থাকে স্মৃতিপথ যা শুধু আজ ধুলায়িত ঊষর মরুভূমি।
বিন্ধ্যার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে সমুদ্রের সাথে।আজ গায়ে হলুদ কাল বিয়ে। সারাটি বাড়ি জুড়ে মাছের বাজার বসেছে। আত্মীয় স্বজন সবাই যেন পুরো বাড়িটিকে আসলেই মাছের বাজারে পরিনত করেছে। অসহ্য লাগছে বিন্ধ্যার এই সব আলোকসজ্জা আর হৈ চৈ। অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেও পরিবারের সবার চাপে পরে গায়ে হলুদের সব অনুষ্ঠান শেষ করে ক্লান্ত দেহে লুটিয়ে পরেছে বিছানায়। আজ রাত্রিটি হবে শেষ একাকিত্বের রাত্রি তার জীবনে। কাল থেকে পাশে শায়িত থাকবে সমুদ্র। এই ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছে সে নিজেই জানে না। চলে যায় ঘুমের রাজ্যে, ফেলে যায় পৃথিবীর করুন বাস্তবতা।
মাঝ রাতে আচম্বিত মৃদু শব্দে কারো নড়াচড়া অনুভত হয় অন্ধকার ঘরটিতে। নাম ধরে ডাকা অস্পষ্ট শব্দ বিন্ধ্যার কানে আসে। শব্দটা অস্পষ্ট হলেও চিনে নেয় বিন্ধ্যা, চেনা স্বর যা কখনো ভুলা যায় না। অরণ্য বিন্ধ্যার পাশে এসে বসে আলতো করে কপলা হাত রাখে।
-তুমি আজ ঘুমাচ্ছ কেন বিন্ধ্যা ?আজতো ঘুমানোর কথা ছিল না তোমার, তোমার মেহেদী রাতে চুপি চুপি কুঞ্জকাননে দেখা করার কথা ছিল। কথা ছিল সঙ্গোপনে রাতে চাঁদের জোত্স্নাতে অঙ্কিত করবো কলঙ্ক। তোমার মেহেদির রঙে সমুদ্র হবে লোহিত বর্ণ। অনেক কথাই তো ছিল কিন্তু আজ তোমার মেহেদী রাত তুমি ঘুমিয়ে আছ কেন ? চল যাই দেখো দূরে হিন্দোলের সুরে আজ নাচব আমরা। কালতো তোমার বিয়ে আর হয়ত যাওয়া হবে না কুঞ্জকাননে। চল শেষবারের মত।
-না অরণ্য, তুমিও কথা দিয়ে কথা রাখোনি আমার সাথে। সেদিন আমাকে বলেছিলে তুমি আসবে কিন্তু আসনি। আমি অপেক্ষায় ছিলাম তোমার, চেয়েছিলাম তোমার আসার সেই চির সচেনা পথে যেই পথে যেখানে আমি আর তুমি হেটেছি ক্লান্তিহীন হয়ে অবিরাম। তুমি আমাকে সান্তনার বাণী শুনিয়েছিলে সেদিন বলেছিলে তুমি আসবেই। তোমার অপেক্ষা করতে করতে আমি ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। তুমি আসনি দেখে অভিমান করেছিলাম তোমার উপর। সেই অভিমানে আর অপেক্ষা না করেই আমি চলে আসি। অনেক ক্লান্ত লেগেছিল আমার সেদিন একা পথ চলতে তুমি পাশে ছিলে না বলে নীরব পথটির ধারে জেগে থাকা শত বৃক্ষের শাখাগুলোও আমার দিকে ছুটে আসছিল। কুঁয়াশার সাথে শশ্মানের জলন্ত আগুনের ধোঁয়া মিশে যায় আর আমি সেই ধোঁয়াশায় পথ চলতে চলতে ফিরে এসেছিলাম। আজ আর আমার কুঞ্জকাননে যাওয়া হবে তোমার সাথে। কথা দিয়েছিলাম মেহেদির লাল রঙে সমুদ্র লাল টুকটুকে করে দিব কিন্তু চেয়ে দেখো আমার মেহেদির রং আজ ধূসর রঙের। আজ আর যাব না তুমি ফিরে যাও। কাল সমুদ্রের সাথে আমার বিয়ে। এখন আমি আর তোমার কোনো কলঙ্কের বোঝা বইতে পারব না। তুমি ফিরে যাও। আমি যাব না কুঞ্জকাননে।
-তুমি কি পারবে আমাকে ভুলে যেতে।তোমার জানালার পাশে দাড়িয়ে দেখেছি সন্ধ্যায় তুমি কাজী নজরুলের আমি চিরতরে দূরে চলে যাব কবিতাটি পরেছিলে, আমি তো সেই কবিতার মত বারে বারে ফিরে আসবো তোমার কাছে বিভিন্ন ছদ্মবেশে।
অরন্যের কথা শুনে মুহুর্তেই বিন্ধ্যা শান্ত হয়ে যায়। ভুলে যায় শত অভিমান।
-তুমি কেন সেদিন আমাকে কথা দিয়ে কথা রাখলে না বল অরণ্য? কেন তুমি তোমার হৃদয় ক্যানভাসে অঙ্কিত করলে আমায় শুভ্র শাড়িতে ?কেন কথা দিয়ে কথা রাখলে না। তুমি তো জানতে তোমাকে ছাড়া আমার এই পৃথিবীতে কোনো স্বাদ নেই। তুমি যখন এসেছই আজ আমাকে একেবারে নিয়ে চল তোমার সাথে।
-না বিন্ধ্যা, আজ আর তা হয় না, আজ তোমার বিয়ে আর তাছাড়া আমি চাইলেই তোমাকে আমার সাথে নিয়ে যেতে পারি না অথবা তুমি চাইলেই আমার সাথে যেতে পর না আজ। কারো ইচ্ছাতেই আজ যাওয়া হবে না। আমি তোমার পাশে তো সব সময়ই থাকব তুমি একা নও। আমার ঘড়ির কাটা আজ থেমে গেলেও আমি তোমাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাব নিরন্তর। অভিমান করো না আর আমার সাথে তুমি কোনদিন। আমি তোমার নিশ্বাসের শব্দ হয়ে তোমার পাশে রব চিরকাল।
-আজ আমি তোমার সাথে যাবই। আমাকে সাথে করে নিতেই হবে তোমার।
-আজও কি তুমি সেই একরোখা রয়ে গেলে ?
-আমি যে পরিবর্তন হতে জানি না আকাশের মত রং বদলাতে পারি না।
-তুমি সত্যি যাবে আমার সাথে?
-আমি মিথ্যে বলিনি কখনো, আমি মিথ্যে বলি না, নিয়ে চল আমায়, আমি আজ তোমার আচড়ে কলঙ্কিত হতে চাই।
অরণ্য ও বিন্ধ্যা দুজন দুজনার হাত ধরে হেটে চলছে প্রিয় কুঞ্জকাননে। ধীরে ধীরে দু'জনে মিশে যাচ্ছে অন্ধকারের আবছাতে।
সমুদ্রের ছোট বেলা থেকেই ইচ্ছা তার বউকে পালকিতে করে আনবে। তার ভাবনা অনুযায়ী সে পালকি নিয়েই এসেছে আজ বিন্ধ্যার বাড়িতে,বিন্ধ্যাকে বউ করে নিয়ে যাবে।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন