শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

আধারের প্রহেলিকা

লিখাটি আমি শব্দনীড়ের লেখক শ্রদ্ধেয় মুরুব্বী ও মহাকালের প্রতিচ্ছবি কে উত্সর্গ করলাম। আমি লিখতে জানি না। দরজার ওপাশে দাড়িয়ে আমার হাতে কলম তুলে দিয়ে যারা আমাকে অনুপ্রানিত করে আসছেন সর্বক্ষণ তাদের এই দু'জনের নামে আমি আমার এই কবিতা লিখনের ক্ষুদ্র প্রয়াসটিকে উত্সর্গ করলাম। আমার শ্রদ্ধা জানবেন আপনার দু'জন। পূর্ণতা পেত আমার দিনমান সাঝের মন্দানিলে করে স্নান তিতাসের সুরেলা লহরীর ঝংকায়।  আজ অপরূপ যন্ত্রনায় কাতর ক্রমশ নিজেকে গুটাচ্ছে  স্রোতহীনতায় পর্যাকুল মানবকুল রয়েছে শংকায়। কলংকের সাক্ষী হয়ে সূর্য অস্তে যায় নিদারুন কষ্টে, মুগ্ধতা নিতে আসা আমি ক্রুশবদ্ধ আধারের প্রহেলিকায়।  বিজয় মুকুট পরিহিত স্রোতসিনীতে ভাসে কলঙ্কিত কচুরীপানা ভাসে অবয়ব সেই ধর্ষিত আত্মহননকারী কিশোরীর। বালক মাঝির খেয়ায় জন্মদাতা পাড়ি জমায়...

বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

শুকনো নদী

শুকিয়ে ছিলাম এক শতাব্দী, ভেবেছিলাম হয়ে যাব নিষ্প্রাণ, ফোটা ফোটা অশ্রুজল রূপান্তরিত নদী কখন আবার গাইব গান? আজ সকালটা ছিল কুয়াশায় ঢাকা  যেদিকে তাকায় শুধু সাদা আর সাদা , হঠাৎ স্তব্ধিত আমি রুখে দাড়ালাম  সার্থক বুঝি জন্ম থেকে কাঁদা। কিছুই ছিলনা বলার আমার, শব্দটা ছিল শত বছরের চেনা। দীর্ঘতপার পর আজ ঝড় তুলল  রাজহংসীর ঝাপটানো ডানা। কিভাবে বরণ করে নিব আমি তাকে? অপেক্ষা আমার ধরে শত বছর।  তার পদসঞ্চারেই ধন্য আমি, নতুবা হতাম ধু ধু বালুচর।  জানিনা কোন আন্দু পরাব তোর পায়ে  হাসি আর গানে এই বুকে করবি খেলা।  যখন খুসি ডানা মেলে কাটবি সাতার, হোক না সে বিষাদময় দুপুরবেলা। তুইতো আমার সেই অংশিত কল্পনা, আমার স্বপ্নময়ী রাজহংসী।  না না তুই রাজহংসী না  যেন কৃষ্ণের হাতে সুরেলা বংশী।  রাজহংসী তোর ডানার বড় ভয় আমার  উড়ে...

মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

কিভাবে বাঁচব আজ

কোথায় হবে আজ রাত্রি যাপন নেই যে কোনো আত্মার বাঁধন  সামনে নিঝুম কালো বন ভীত মনে কাপছে বদন জীবনে কেন এমন ক্ষণ দু চোখে শীতল রক্তক্ষরণ হয়ে যাচ্ছি আজকে হরন কোথায় আমি যাব এখন ? জানিনা আমি কাটতে সাঁতার  সামনে আছে অকূল পাথার মাস যে এখন কৃষ্ণচূড়ার  তবুও গর্জন মেঘ মালার রুখবো কেমনে সকল বাঁধার  সঞ্চিত নেই ক্ষুধার আঁহার  ধেয়ে আসছে উচু পাহাড় কোথায় আছে পথটি বাচার? আলো নেই আজ অগ্নি শিখায় জীবন আধারে হাতড়ে বেড়ায় সর্প দংশে পায়ের গোড়ায় বাঁচব কেমনে চৈত্রের খরায় শক্তি যে নাই পথ চলায় আশ্রয় খুঁজি বৃক্ষের শাখায় দোয়েলের ওই নিবিড় পাখায় শব্দনীড়ের কাব্য পাতায়। হবে হৃদয় আজ সন্ন্যাসী কোথায় যে সে রক্ষাচাষী যে নেবে মোর দুঃখ রাশি যত্নে বলবে ভালবাসি পরম সুখে দিব হাসি হাতে নিব রাখাল বাঁশি।  আসুক ঝড় সব সর্বনাশী তবুও...

রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

অগ্র পশ্চাতের কলহ

পশ্চাতে ক্ষুধার্ত ছিল জননীর বুকের ধন  গহীন রাতে ভাসমান বীরঙ্গনার আরতি  অগ্রে দেখো কল্ল্যানময়ী চামেলীর বন  রয়েছে আরো তপ্তকাঞ্চন সত্যের বসতি  গত হয়েছে শত মন্দের আরাধন ধরনীতে আজ তারুন্যের দ্যুতি।  বিশাল বঙ্গতে চাই কিছু পরোয়ানা  ফিরে পেতে চাই পশ্চাতের সোনালী আঁশ আজও আছে কিষাণের বক্ষপুরে যন্ত্রণা  দেবমাতৃক দেশে ভাসে দীর্ঘশ্বাস  ধানী জমিতে চাই না কল কারখানা  গাছে গাছে ফুটুক ফাগুনের পলাশ।  প্রেমের প্রহেলিকায় ছিল তরঙ্গাকুল পাথার আজ পর্ণমোচী বৃক্ষের মত প্রেমের সুর  বড়শি হাতে দেখি সব চন্ডিদাসের বাহার নেই শুধু পশ্চাতের সেই শুকনো পুকুর পশ্চাতের প্রেমে ছিল না পাংশুটের পাহাড় প্রেমময় তরঙ্গ ছিল সকাল দুপুর। দু কদম পিছনে রয়েছে তুখোড় কৈশোর দু কদম সামনে জ্বলন্ত যৌবন অগ্র পশ্চাতের কলহে হল আজ ভোর ধরিত্রীর...

শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

ভোরের প্রত্যাশা

মিথ্যের মাঝে তোরা সবাই আমাকে ডুবিয়ে রেখেছিস , মিথ্যেকে ভাপিয়ে বানিয়েছিস সত্যের বরফ , সত্যকে পাঠিয়েছিস কল্পলোকে। দিবালোকে আমার চোখ ঢেকেছিস কালো পর্দায়। করমর্দনে দিয়ে যাচ্ছিস ভঙ্গুর প্রতিশ্রুতি। সবুজ দেশের মাটিতে আর নেশা নয়, বিদায়লগ্নের আলিঙ্গনে করেছিলি তোরা প্রতিজ্ঞা।  প্রবাস থেকে পারছিনা ক্ষিপ্ত হয়ে কেড়ে নিতে, তোদের  হাতের বিষাক্ত গোলাপী টেবলেড।  পারছিনা খুলে দিতে ঘরের সব বন্ধ জানালা।  অন্ধ বলে ভাবিস না আমার ভালোবাসাও আজ অন্ধ , ভুলে যাসনে আমিই ছিলাম তদের আড্ডার মধ্যমণি। আমি আবার প্রত্যাবর্তন করতে চাই তোদেরই মাঝে।   শূন্য হাত বাড়ালাম তোদের পানে, দে ভিক্ষা- চল আমরা আবার যাই মান্না দে' এর কফি হাউসে।   বন্ধু তোরা ফিরে আয় এই সকালে সেই পুরনো পথে, রাতের...

শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

চলে আস তুমি

নদী তুমি কেন আমার বুকে আছড়ে পড়না ? দেখো পুষ্পমাসে বাজে বুকে মাঘোত্সবের মাদল।  পক্ককেশের আড়ালে নিজেকে কেন রাখো লুকিয়ে ? তোমারি অভাবে ভাসে নীল আকাশে কালো মেঘের দল।   পিপাসিনী হয়ে তুমি কেন করছ পায়তারা ? বিশ্বস্ত এই বিশাল বুকে কেন করনা আঁখিপাত। কেন ভিজাও না চরণ দুটি আমার নিশাজলে ? তোমারি অভাবে হৃদয়ে ঘটে অবিরত উল্কিপাত।   চলে আস তুমি এই বুকের শূন্য নগরীতে,  তোমারি অজ্ঞাপনে করব ফের নগরকীর্তন। মূদ্রিত হবে সুখের কাব্য, ধরনীর বুকে উচ্ছাস , খেয়াঘাটে ভিড়বে তরী,রবে পাখির কূজন।&nbs...

বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

একুশে ফেব্রুয়ারী ভ্যালেন্টাইনস ডে না।

কথা বলছিলাম বন্ধুর সাথে এই দূর প্রবাস থেকে। হঠাৎ বন্ধু বলল আমাকে দোস্ত একটু পরে কথা বলছি। ৫ মিনিট পরে ফিরে আসলে তাকে জিজ্গেস করলাম কোথায় গেলি? সে বলল কোথাও না। বললাম তাহলে ফোন রেখে দিলি যে ? সে বলল আরে কালকে তো ২১শে ফেব্রুয়ারী তো আমার গার্ল ফ্রেন্ড শহীদ মিনারে যাওয়ার নাম করে ঘর থেকে বের হতে পারবে। তাই ও এখন ফোন দিয়ে বললো আমাকে কোথায় যেতে হবে। আমি বললাম ও আচ্ছা তার মানে গত ৭ দিন আগে ভ্যালেন্টাইনস ডে পালন করেও কি তোমাদের ভালবাসার স্বাদ মিটল না ? যদিও জানি কথাটাকে সে খুব ভালোভাবে নিল না। যাই হোক ওর সাথে কথা বলা শেষ করেই লিখতে বসলাম। ভালবাসা তুমি মানুষকে অন্ধ করে দাও আমি জানি। এই অন্ধ ভালবাসা কারণে দেখতে পাচ্ছি না আমাদের নৈতিক কি কি অবক্ষয় ঘটছে। আপনারা কেউ কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন, যে এমন কোনো যুগল দেখেননি যারা শহীদের...

ভালবাসাপুর

বনীকরণ করো না এই মহাসৃষ্টি ভালবাসাপুরকে, আজও শত বপ্তা বুনছে ফসলের বীজ এই পুরে। বিশ্বাস দিয়ে গড়া বরফের উপত্যকা ছুয়েছে গগন , আজও মাঝি বজরা বেয়ে চলে ভাওয়ালি সুরে। আজও পুষ্পাবতীর ঘরে লটকানো আছে রকমারি মালা, শঙ্কিত করো না তাকে যে রয়েছে কারো অপেক্ষায়।  ভালবাসাপুরের ভালবাসা কোনো শলাকা নয় , বিশ্বাসে নত হিংসার অনল, প্রেম আনে শিহরন জলন্ত শিখায়।  রঙ্গমহল ছেড়ে এসো একবার এই ভালবাসাপুরে , বগলি ভরে নিয়ে এসো শুধু বিশ্বাস সংকুলান।  আকড়ে ধর ধরা হাত ছেড়ে দিও না হয়ে বিস্মরণ , বিশ্বাসের নদীতে ভালোবাসা হয়ে রবে চির অম্লান।&nbs...

বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

ধনকুবেরের অভাব

ধনকুবেরের অভাব দেখে আমার নিজেরই কষ্ট হয় , কচুরিপানার মত দ্রুতই বাড়ে তার অভাব। আজকের সকালে খুব চিন্তিতদেখালো তাকে কিভাবে কি করবে ? মতিঝিলের বাড়িতে এখনও নকশার কাজ বাকি। গত বছরের কেনা গাড়িটাও হয়ে পরেছে অনেক পুরনো। ছেলের যাবে সুইজারল্যান্ড ভ্রমণে আর মেয়ে কানাডায়। ঘরের গিন্নি ধরেছে গহনার বায়না ,অভাব আর সড়ে না। যেদিকে শুধু অভাব আর অভাব, কথাও তার শান্তি নাই। পাশের বাড়ির দরিদ্রও তার পাওনা টাকা দিচ্ছে না। সেই কবে নিলো তার মেয়ের বিয়ের সময় টাকাটা , এই অভাবের দিনে ৫ হাজার টাকাও অনেক। হায়রে ধনকুবের তোমার অভাবে আমিও আজ অভাবী।&nbs...

মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

কৃত্তিম মায়া

কেন ঘুরছ এই ঘরপোড়ার পিছে, নিয়ে মিথ্যে মায়ার ঝুড়ি ? হাতের মাঝে তোমার পুষ্পবাণ , সারা বদন ঘর্মাক্ত।  ধুপকাঠির সুভাস ছড়িয়ে করতে চাও শাসরুদ্ধ , কৃত্তিম ভালবাসার মোহে আমি নিজেকে হারাতে চাই না।  যদি পার রৌদ্রজ্জল আকাশে ঘটাও পুষ্পবৃষ্টি।  তোমার কালোকেশে ছড়াচ্ছে বিদঘুটে অন্ধকার , লাল লিপস্টিকেই বলে দিচ্ছে তুমি কোনো রক্ষনপুরীর।  শীতল চঞ্চুতে নেই রক্তচোষা ছাড়া কোনো কামের দাগ।  কৃত্তিম সৌন্দর্যে আমি হতে চাই না  দৃষ্টিক্ষুধার্ত, যদি পার কাবিনবিহীন হাতে দাও দৃঢ়মূল বিশ্বাস। তোমার লজ্জাহীন বসনে সবার দৃষ্টি আজ কাকচক্ষুর মত।  আড় চোখে তাকানোর ভঙ্গিমাটা দেখে হাসি আসে অনেক, তোমার কাঁকনের ঝঙ্কার শুনলে মনে হয়, তুমি নারী কাঁসারি।  তোমারতো কোনো আচল নেই, কোথায় মুখ লুকাবো ? যদি পার দাও মায়ের আচলের মত নিরাপদ আশ্রয়।  তুমি...

রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

A DOCTOR

A doctor entered the hospital in hurry after being called in for an urgent surgery. He answered the call asap, changed his clothes & went directly to the surgery block. He found the boy’s father pacing in the hall waiting for the doctor. On seeing him, the dad yelled: “Why did you take all this time to come? Don’t you know that my son’s life is in danger? Don’t you have any sense of responsibility?” The doctor smiled & said: “I am sorry, I wasn't in the hospital & I came as fast as I could after receiving the call…… And now, I wish you’d calm down so that I can do my work” “Calm down?! What if your son was in this room right now, would you calm down? If your own son dies now what will you do??” said the father angrily The doctor...

শুভ জন্মদিন

আমার বন্ধু মাহমুদুল হাসান লিটনের জন্মদিনে আমার শুভেচ্ছা।  তোমাকে আচমকা অবাক করতে পারব না পারবনা সন্ধ্যার মৃদু আলোতে,বুকে জড়িয়ে বলতে, হে প্রিয়, শুভ হোক তোমার জন্মদিন। আকাংখা পূর্ণতা পেল না। খোলে দাও ২৬ বছর ধরে বন্ধ থাকা সকল জানালা , আলো আসতে দাও, বয়ে যাও তোমার সাধনার তরী। ভয় নেই তোমার, আমি রয়েছি দাড়িয়ে সদর দরজায় হয়ে তোমার অতন্দ্র প্রহরী। রয়েছি আমি কঠোর পাহারায় তোমার দরজায় , বন্ধ করেছি কষ্ট আসার সব অজানা পথ। প্রতিনিয়ত তুমি বাচবে বাচার মত করে , কেউ ছুতে পারবেনা তোমাকে, রয়েছি আমি দশরথ। কষ্টের যত শির আজও বেচে আছে ধরনীতে , সব শিরের আজ নত হবে মাথা। প্রমান করে দাও তুমি শুধুই বাস্তব তুমি, নয় কোনো গল্প উপন্যাসের রচিত কথা। অন্ধকারে আর নয়, আলো আজ চারদিকে , শেষ হয়ে গেছে দুঃখের সব ঋণ। দুবাইয়ের মরুভমির মাঝে...

শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

আঘাত

আমি তোমাকে কখনো আঘাত করতে চাই না  সেটা বড়ই নির্মম হবে, সেই আঘাত তুমি সহ্য করতে পারতে না   জীবন্ত দেহ তোমার মৃত হয়ে রবে।  তোমার ভয়ের আজ কিছুই নেই  যখন আঘাতের বদলে পেলে মহত্ব, পেলে ক্ষমা, কলম গড়ে তুলেছিল আমার বিবেককে  আমার ক্লেশ আমার মাঝেই রাখলাম জমা।  যখনি আঘাত করেছ বিশ্বাসের  নিশ্চুপে হয়ে গেছে রক্তক্ষরণ, ভাবতাম এটাই কি বিশ্বাসের মুল্য? তুবও পাটকেল ছুড়িনি, সব করেছি বরণ।  তোমারি আঘাতে জন্মনিলো আমার মনে আজ  কবিতার লিখার মত নির্ভরশীল শিল্প , লিখে যাব সব চরণ জীবনের  কবিতার মাঝেই জানবে সবাই এই জীবনের গল্প।  কবিতা তোমার মত বিশাস নিয়ে খেলে না  এখানে হয় না বিশ্বাসের মরণ , একদিন হয়ত তুমার মাঝে স্মৃতি  হব আমি  কিন্ত বাকি সবাই কবিতার মাঝেই, করবে আমায়...

ক্রোধ আর আমার যদ্ধু

কেউই কি আজ আমার প্রতি ভীত না , ক্রুদ্ধে লাল হয়ে যাওয়া চোখগুলো দেখেও, থমকে যাওয়া সেই দেয়াল ঘড়িটি আজও  আমার ঘুম ভাঙ্গানোর গান গাইলো  না। চিত্কার, চেচামেছি ,আর ছুড়ে ফেলা। আমার ক্রুদ্ধতার বিজলী সেদিনই অকেজো হয়ে পরেছিল, যেদিন বসত পরিবর্তনের বায়নাতে ক্রুদ্ধ হয়ে , আমি উপড়ে তুলেছিলামসকল পাখা , আমারই পোষা বিহঙ্গের। যেকিনা সারাটাক্ষণ  বলত আমারই শিখানো সব বুলি। ছেড়া  পালক , উড়ার আকাংখা, বুকে ভর করে চলে যাওয়া। হেরে যাই বশে না আসা ক্রোধের কাছে অবিরাম , রক্তচোখ শীতল হয় যখন, তখন দেখি নিস্তব্ধতা ঘেরা পৃথিবী। তখনি আবার ভাবি, ভাবতে হয় ক্রুধের সকল কারণকে, আশা ভঙ্গের প্রতিফলন ছাড়া আর কোনো কারণ খোজে পাই না। কোথায় গেল সব কারণগুলো? কেন আমি খোজে পাই না ? আবার প্রশ্ন , আবার ক্রোধ , আবার কবিতার খাতায় আর একটি কবিতার জন্...

রাজহংসী

এটাই তো সেই স্থান , যদিও পুকুরটা আর এখন নেই।  ভরাট করে হয়েছে মস্ত বাগানবাড়ি, গতকালের সব স্মৃতির মত  এখনো সেই সৃতিগুলো আমার মস্তিষ্কে প্রখর , যদিও কালের বিবর্তনে  দিয়েছি পঁচিশ বছর পাড়ি।  আজকাল আমার শ্রবণ শক্তি আর আগের মত কাজ করে না, কাছের শব্দগুলোও ভালোভাবে শুনতে পাই না।  আমার শ্রবণ ইন্দ্রিয়তে যেন সেই অট্টহাসির দখলে আজও।   যে হাসি  হেসেছিল এক রাজহংসী , পিচ্ছিল এই ঘটে আমার হোচট খাওয়া দেখে।  সেই হাসিই আমাকে নিয়ে গেল আরেকটি রাতের কাছে।  হয়েগেলাম রাজহংস, কাটলাম সাতার দুজন একই পুকুরে।  সবই যেন আজও  জীবন্ত পঁচিশ বছর পরেও , আরো পঁচিশ  বছর হয়ত চলে যাবে, তবে জীবন্ত থাকবে সেই স্মৃতি চৈত্রের দুপুরের।   দুপুরবেলা খরা রোদে রাজহংসী উড়তে চাইল , সাতার নাকি আর তার সাথে মানে না।  ইচ্ছা পরিবর্তনের কাছে হেরে গেলাম ডানা কাটা আমি।  উড়ে...

ছাপ

আমার যত দূর্বলতাছিল রাতের আঁধারে, কালো আঁধারে বাধা পেত আমার স্বপন।   অপলক  তাকিয়ে থাকা আলোর খোঁজে, হঠাৎ পাখী ডাকে নেমে আসে ভোর, শেষ হত আমার নির্ঘুম রাত্রি যাপন।   খুব বেশি ভর করে ফেলেছিলাম তিতাসের উপর, ভাসমান তিতাসের স্রোতের কল কল ধ্বনি  এনে দিতো স্বপ্ন হাজার।  পরিশুষ্ক বক্ষে আজ আর কোনো সুর ভাসে না, তবুও বিশ্বাস রয়ে যায় অমর, বয়ে আনে শক্তি- নতুন স্বপ্ন বোনার।  তখন বুকটা ছিল নরম কাদামাটির মত, অহরাত্রিতে যখন খুশি বসিয়েছিলো অনয়াসে , উদ্ধত আঙুলের ছাপ।  শুকিয়ে গেছে মাটি,ছাপ রয়ে গেছে চিরস্থায়ী, তাকিয়ে থাকি আজও সেই নিভু আলোর দিকে যেটাই ছিল জীবনের বড় পাপ।  শক্ত হয়ে যাওয়া আমার এই মাটির বুকে  এখন আর কোনো ছাপ পরে না, কারো বিশ্বাসের ছাপ  নিতে আমিও রাজি না।  অন্ধকারেই কাটাই নিশি, নির্ঘুম...

কৃতজ্ঞতা

তোমার দরবারে আজ জ্ঞাপন করছি কৃতজ্ঞতা , হে মহান সৃষ্টিকর্তা ,করি তোমারি জয় জয়কার।  মোর জীবনের  রাতের অন্ধকার দূর করে তুমি দিলে, দিলে সুযোগ একটি বৃষ্টিস্নাত একটি শুভসকাল দেখার।  কিভাবে ভুলবো তোমার পরম দয়ার কথা ?  বৃষ্টি দিয়ে সরিয়ে দিলে জীবনের কাল মেঘ যত।  হৃদয়ের মাঝে কষ্ট নিয়ে বেচেছিলাম অনেকদিন , আজ সকালের আলোয় দূর হলো ছিল যত ক্ষত।  হে প্রভু , হে সৃষ্টিকর্তা, হে মোর আল্লাহ , শক্তি দিও এই সুখকে যাতে রাখতে পারি ধরে।  করছি আকুতি নিওনা কেড়ে তাকে , যে এসেছে আবার মোর  জীবনে ফিরে।  আজ কোনো কিছুর অপূর্ণতা নেই আমার জীবনে।  ফিরিয়ে দিলে তাকে এতদিন যার অপেক্ষায় ছিলাম। আবার সুর এলো আমার প্রিয় বীণায় , অতীতকে পিছনে ফেলে সামনে পা বাড়ালাম। &nbs...

এলোমেলো সংসার

ঘর , দোর , বিছানা সবই আজ এলোমেলো , ফুলদানিটাও নেই এখন টেবিলের উপরে। ড্রেসিং টেবিলের গ্লাসটা রেগে ভেঙ্গে ফেলেছি আমি, সবই করেছি যেদিন অভিমানে তুমি গেলে সরে। তুমি একদম ভালো না, কিছুই বোঝনা , আমি কি পারি বল এতবড় দুজনের সংসার একা সামলাতে? কতনা আকুতি , মিনতি আমার, তারপরও গেলে, ফিরে যখন এসেছ সংসারে আর দিব না পালাতে। সেই পুরনো সংসারকে আবার তোমাকেই গোছাতে হবে , জানইতো তুমি, আমি এসব একদম পারি না করতে। তুমি চলে যাওয়ার পর নষ্ট জীবন করেছি কিছুদিন , ডেকেছি তোমাকে ,সাড়া না পেয়ে চেয়েছি মরতে। ঘরটাকে ঠিক আগের মত  গোছিয়ে তোলো , সাথে ঝেড়ে ফেলে দিও পুরনো সব অতীতকে। সংসারে তুমি মহারানী আর আমি হব মশাই , দুজন মিলেই করব বরণ গর্ভে থাকা প্রধান অতিথিকে।&nbs...

সান্তনা

কতটা অসহায় হয়ে আজ ডাকি চারপাশে কেউ কি আছ এই ধরনীর বুকে ? স্বগৃহটিও আমাকে প্রত্যাখান করলো , নিরুপায় আমি আজ কোথায় যাব ?কি খাব ? আজ কোনো সান্তনায় আসায় চিত্কার করছি না, ভিক্ষার থালা হাতে নিয়ে কেউ  সান্তনা চায় না। সামনে এগিয়ে যাও তোমার  পিপাসা দূর হবে , তৃষ্ণার্ত আমি পেয়েছি এমন হাজার লোকের সান্তনা। শত কোটি মানুষের আবাসস্থল এই পৃথিবী , লক্ষ্য মানুষের পদচারণে দৌড়াতে চাইলেও পারিনা। পগলা কুকুরের মত দৌড়াতে চাই আমি ভিড়ের মাঝে , পাই না আমি পাই না , আমি কারো না। পৃথিবীর কাউকে ঘৃনা করার স্পর্ধা আমার না , সবাইতো কারো না কারো অপেক্ষায়। আমি আজ নিঃস্ব বলে সবাইতো আর নিঃস্ব না , তাই থাকলাম না আর এই অযোগ্যতা নিয়ে তোমাদের সমাজে। টিকেট কেটে এসেছি নদীর ওই পাড়ে যাওয়ার। এখন শুধু অপেক্ষা সেই খেয়ার মাঝির , খানিকের যে আমাকে পার করে দিবে ওপারে , ওপারে সবই...

না বর্ষার কবিতা

আমি এখন আর আষাঢ় শ্রাবনের কোনো পিছুটানে নেই ভালবাসার কফিন ধরে যে কবে শেষ কেদেছিলাম তাও ঠিক মনে নেই। বুঝতেই পারছ, এখন কারো কোনো খুঁজে আমার বিশেষ কোনো প্রয়োজন নেই, কার ঘরে অথবা কোন প্রহরে কে টোকা দিয়ে যায়, দূরে বসে কে বজায় বাশী যেই বাশীর সুর আমারও খুব প্রিয় ছিল , এসবে এখন আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি যেহেতু আর কাউকে ভালবাসি না সেহেতু , কার চোখের জল নদীর পানির সাথে মিশে গেল, অথবা কে ভালবাসার জন্য আরেকবার ঝাপিয়ে পরল কর্ণফুলীতে, তাতে আমার গন্ডারের চামড়ায় একটি ফুস্কাও পরবেনা। আমি যেহেতু আর মেঘ বৃষ্টির ধারে কাছেও নেই সেহেতু , কে বৃষ্টিতে ভিজে ১০৪ ডিগ্রী জ্বর নিয়ে বিছানায় পরে আছে তাতে আমার বিন্দুমাত্র সহানুভুতি হবে না। কারো মাথার উপরে যদি আকাশ ভাঙ্গতে থাকে তাতেই বা আমার কি আসে যায়? কারণ আমার অভিধান থেকে চার অক্ষরের শব্দটা মুছে ফেলেছি। এখন কোনো...

কেন এমন হয়?

কিভাবে তোমার পথরোধ করে দাড়াব দারিদ্রতার শেকড়ে জড়িয়ে গেছে আমার পা। নির্লজ্জ ভঙ্গিতে বারবার সিক্ত হয় নয়ন দূরে থেকে দাড়িয়ে দেখি তুমি বাধছ খোপা। বেদনার নীল কালিতে সাক্ষর করা তোমার তালাকনামা পেলাম এই দুর্যোগের ভোরে। আমি আর কোনো দলিলেই দিব না টিপসই, যদি পর কাবিননামা ফেল ছিড়ে। আজ কাবিনবিহীন তোমার এই দুটি হাত , ধীরে ধীরে মুছে যাবে মেহেদির লাল  রং। আমি প্রত্যাবর্তন করব সেই হারানো দিনে, যেখানে হাসব একা, কাদব একা ,মাঝে মাঝে সাজবো সং। হামাগুড়ি দিয়ে চলতে হারিয়েছি বুকের পশম , এই বুকে আর কোনো বৃক্ষের জন্ম হবে না জানি। নিশাচর হয়ে শুধু ভাবি, কেন এমন হয় বারবার ? কেন বারবার শুকিয়ে যাই পান্তা ভাতের পানি...

ভালবাসা দিবস ও কালো গোলাপ

লাল , নীল , হলুদ কোনো গোলাপই পেলাম না  ভালবাসা দিবসটাও অনেক সন্নিকটে, সব নার্সারী আজ ভরা কালো গোলাপে, রঙের অধিক মিশ্রনের প্রতিফলনে  পরলাম লাল গোলাপের সংকটে।  সবাই কেমন জানি উন্মাদ লাল গোলাপের খোজে , সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মিকে উপেক্ষা করেই  খোঁজছে বিলুপ্ত লাল গোলাপকে।   আমিও ফিরে আসি ব্যার্থ হয়ে পুরোনো গলিতে , তুলে দেই তার হাতে বসন্তের  কৃষ্ণচূড়াকে।  আজ সূর্য উঠেছে বিশ্ব ভালবাসা দিবসের, যদিও দেখা নেই কোথাও একটি গোলাপের।  বসন্তের ফুল আমাকে বাঁচিয়ে দিল  রঙের প্রতিফলন আজও তাকে গ্রাস করেনি , পেলনা কোনো ছোবল বিষাক্ত সর্পের।  নদীর কূল ধরে হেটে যাচ্ছি, নিরবতা দুজনেরই   দূরের নদীর স্রোতে করছে দুটি হৃদয় খেলা।  তার স্রোতে মুগ্ধ হয়ে ভাবি  সেদিন কেন ছিল না তার এই ঢেউয়ের খেলা, যেদিন...

শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

মাহমুদল হাসান লিটন

বন্ধুত্ব, ভালবাসা এসবের সংজ্ঞা দেওয়া আমার কাজ নয়। আর এসব শব্দের সংজ্ঞা দেওয়া আমার পক্ষেও সম্ভব না। এই দায়িত্ব তাদের, যাদের কালজয়ী লেখনী পড়ে আমিও আজ আমার বন্ধু সম্পর্কে কিছু লিখতে অনুপ্রেরণা পেয়েছি।   মাহমুদল হাসান লিটন, আমার জীবনের একজন গুরুত্বপূর্ণ মানুষ। আমার এই লেখায় তাকে বন্ধু বলে আখ্যায়িত করতে চাই না কারণ আজ পর্যন্ত কখনো তাকে সরাসরি বন্ধু বলে ডাকা হয়নি। কখনো গালাগালি, কখনো মামা আবার কখনো তার কোনো ব্যঙ্গ নামেই তাকে ডাকা হত। সেই স্কুল জীবন থেকে শুরু করে আজও সে আমার সাথে রয়েছে সবসময়। কেমন জানি এক সভাব তার মাঝে। তার সভাবের কারণেই হয়তো আমার মনের প্রিয় মানুষটির জায়গাটা শুধু তার জন্য বরাদ্ধ। আমার জীবনের অনেকটা সময় তার সাথে কেটে গেছে আর এখনো যাচ্ছে এবং মনে হচ্ছে চলে যাবে ওর সাথেই সারাটাজীবন। আমাদের দুজনের জন্মতারিখ থেকে শুরু...

মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

ভালবাসা দিবসের উপহার

১৪ই ফেব্রুয়ারী, বিশ্ব ভালবাসা দিবস। অনেকেই উদগ্রীব হয়ে আছেন এই দিনটিকে পালন করার জন্য। অনেকেই হয়ত ভালবাসার মানুষটিকে উপহার দেওয়া ভাবছেন। আসুন জেনে নেই কি  হতে পারে ভালবাসার মানুষের জন্য এই দিনটির উপহার। একগুচ্ছ ফুল: ফুলকে ভালবাসেন না এমন মানুষ খুব কমই আছে এই পৃথিবীতে। সবাই কমবেশী ফুলকে ভালবাসে। আর এই ফুল দুজনের ভালবাসার মাঝে আরো সুগন্ধী আরও বাড়িয়ে দেয়। যাকে ভালবাসেন আপনি তাকে এই ফুলের মাঝেই বরণ করে নিন এই ভালবাসা দিবসে। ফুল যেন পবিত্র ভালোবাসাকে আরো পবিত্র করে তোলে। তাই এই ফুলই হোক আপনার জীবন সঙ্গিনীর জন্য প্রথম উপহার।  বই: আপনি আপনার ভালবাসার মানুষটিকে দিতে পারেন তার পছন্দ অনুযায়ী কোনো বই। ভালবাসা দিবসের আগেই জেনে নিন কোন ধরনের বই তার পছন্দ এবং সেই দিন তাকে তার পছন্দের বইটি উপহার হিসেবে দিন। কখনো...

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

জরুরিভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

আমি খুব ভালো করেই জানি আমার এই লেখাটা প্রধানমন্ত্রী অথবা পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের নজরে আসবে না। ভুলেও যদি কখনো চলে আসে তাহলে  দয়া করে এড়িয়ে যাবেন না। গতকালের  প্রায় প্রত্যেকটা সংবাদপত্রে  ইউএই এর ভিসা বন্ধের সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে। তারই কিছু কথা  নিয়ে আমার এই লিখা। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ইউএই বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে রক্ষণশীল নীতি গ্রহণ করে। সেই রক্ষনশীলতার নীতি গ্রহণ করার পর গত সপ্তাহে ইউএই বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য সবধরনের ভিসা বন্ধ করে দেয়। কর্মসংস্থান বা এমপ্লয়মেন্ট ভিসা, ট্যুরিস্ট বা ভ্রমণ ভিসা এবং সব ধরনের বাণিজ্যিক ভিসা প্রদান সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিয়েছে। সেপ্টেম্বর ২০১২ থেকে আজ পর্যন্ত দেড় বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও ইউএই সাথে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী অথবা পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের তেমন...

রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

ভালবাসা এবং টিপস

সবার ভালবাসার প্রতি রইল আমার হাজার সালাম। কারো ভালোবাসাকে ইঙ্গিত করে আমার এই লেখা না এটা শুধু মাত্রই আমার ব্যাক্তিগত চিন্তাধারা। । এখন ইন্টারনেট খুললেই অনেকের অনেক লিখনী আমাদের নজরে আসে। অনেকেই ভালবাসা টিকিয়ে রাখার জন্য,  ভালবাসার মানুষটিকে কাছে পাবার জন্য ,নারীর মন কিভাবে জয় করতে হবে ,অথবা একটা নারীর কাছে কিভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে এসব নিয়ে অনেক হাজার টিপস দিয়ে থাকেন। এই পর্যন্ত কত জন  বুকে হাত দিয়ে  বলতে পারবেন যে এসব টিপস পরে তাদের ভালবাসার সম্পর্কটি হয়েছে ? জগতের প্রযুক্তি দিয়ে আজ অনেক কিছুই সম্ভব যেমন গর্ভবতী নারীর পেটের সন্তানটি ছেলে না মেয়ে , শরীরের কোথায় পাথর হয়েছে সবই সম্ভব কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউকি মনের ভিতর কি আছে সেটা দেখতে পেরেছে কখনো ? কার মনে কি খেলা করছে অথবা কারো মনের কষ্ট কি কোনদিন ঔষধ দিয়ে সরানো...

ভালবাসা ও নারী

ছোট একটা গল্প বলি-------- একটি উচ্চবিত্ত ঘরের ছেলে ভালবাসত একটি মধ্যবিত্তের ঘরের মেয়েকে।ছেলেটি তাকে অনেক অনেক ভালবাসত।আজ শুক্রবার ছেলেটিকে নিয়ে মেয়েটির বেড়াতে যাওয়ার কথা। সকাল বেলা ছেলেটি মেয়েটিকে কল করলে সে মেয়েটি তাকে বলল সে  খুব অসুস্থ। যার কারণে সকাল থেকে সে কিছুই খায়নি। মেয়েটি আজ বিকালে সে বেরও হতে পারবেনা। মেয়েটি অসুস্থতার কারণে ভালোভাবে কথা বলতে না পারায় ছেলেটি ফোন রেখে দিল। সেদিন ছেলেটি তার পরিবারের সাথে দুপুরে খাবার খেতে বসলো , খাবার টেবিলে হরেক রকম খাবার সাজানো। হঠাৎ তার মনে হলো তার ভালবাসার মানুষটি সকালে তাকে বলেছিল সে অসুস্থ আর অসুস্থতার কারণে সে সকালের নাস্তাও করেনি। এমন সময় ছেলেটি তাকে আবার কল করে তার অসুস্থতার খবর নিল এরপর ছেলেটি আবার খাবার টেবিলে এসে খেতে বসলো। ছেলেটি  মুখে তখন মনে...

Page 1 of 3412345Next
Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

 
Design by প্রহেলিকা