রবিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৪

গ্রীষ্ম থেকে বসন্ত কাটে তোমার অপেক্ষায়

সময়ের স্রোতের ভেলায় আধখেঁচড়া বছরের  শেষ সূর্যটিও অস্তে যাচ্ছে অনাবৃষ্টির যাতনে । ড্যাবরা চোখে তাকিয়ে গিলছি ব্যাঙ্গমীর দুর্বাক্য।  তোমার ক্রোধানলে ছোঁড়া শেষ প্রতিজ্ঞাবাণে আজ বুঝি ধুঁলোয় লুটোতেই হবে চিরন্তনে।  দিগন্তরেখা ছোঁয়ার মত বিস্ময়কর প্রত্যাশায় লালিত - কোনো এক ঋতুতে তোমার প্রত্যাগমনের উন্মাদ স্বপ্ন, কালবৈশাখের মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, সাথে ঝড়ের তান্ডব  জীবনাশঙ্কা ভুলে অনিমেষে দেখেছি তোমার চলে যাওয়া। ছন্দে-বন্দে গ্রীষ্ম কাটিয়েছি অক্ষুব্ধ চিত্তে, অস্পন্দিত হৃদয়ের উপাসনা ছিলো বর্ষার তরে, খরতাপের যন্ত্রণায় অভিমান ভুলে তুমি আসবে কদম্ব তলে হৃদয় ভেজাবে আষাঢ়ের জলে, ঝিরিঝিরি বৃষ্টির সুরের ঝংকারে মুছে যাবে যত নির্লিপ্ততা। শরৎ-এর মেঘহীন জাজ্বল্য-মান নগ্ন ক্যানভাসে অশ্রু রঙে এঁকে ছিলাম চন্দ্রামুখির পুষ্পাহাসি।  শ্যাওলা আবৃত বুক ছেঁদ করে বালি-হাঁসের ডানায় চঁড়ে, ভেবেছিলাম তুমি...

শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০১৪

অনাবিষ্কৃত সুখের খুঁজে

তোমার শরৎ-এর নীল আকাশে আজ ঘুড়ি উড়াতে আসিনি। স্মৃতির ইন্দ্রজাল থেকে বেরুতে না পেরে হেটেছি লক্ষ্য ক্রোশ, হিংস্র-জানোয়ারে আবেষ্টিত বিরান পথে অভীত মস্তিষ্কে অবিরাম নিস্তব্ধ পথে ছায়ার হাত ধরে হেটেছি মৃদু বাতাসের আবেশে।  ক্রন্দন মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে মুছে ফেলেছি সরল প্রেমের অভিরাম।  অবজ্ঞার পীতজ্বরে আশ্রিত হইনি ব্যার্থতার উষ্ণ কাঁথাতলে, অবিশ্বাসের ঘূর্ণিপাকে তলিয়ে যাইনি উন্মত্ত হয়েছি চন্দ্রচুম্বনে।  দ্রবীভূত বিষাক্ত স্মৃতিগুলো বুকে ধরে জয় করে করে এসেছি- উত্তরমেরু থেকে দক্ষিণমেরু,দুমড়ে যাইনি ঝড়জলের বিড়ম্বনে।  গগনের খিল খুলে দিয়ে ঝরিয়েছি বৃষ্টি অঝোরে একাকী রাতে।  অমূলক সন্দেহের বাণে রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পরিনি অনায়াসে, বয়ে গেছি উন্মাদ তরণী দিগ-দিগন্তে অনাবিষ্কৃত সুখের খুঁজে।...

বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০১৪

রেকর্ড

আজকে দেশের জনগনের  নিদ্রা ভেঙ্গেছে, লাখো কন্ঠে গেয়ে সঙ্গীত  রেকর্ড করেছে।  রেকর্ড করে এসে তারা  বলে কত কথা,  নব্বই কোটি টাকা নাকি  শুধু গেল বৃথা।  সন্ধ্যায় এসে বলে তারা  লাভ কি হবে তাতে? আছিতো ভাই কুঁড়ে ঘরে  ভাত মিলেনা পাঁতে।  পদক্ষেপ যখন নিল  তখন ছিলা চুপ,  সবার মুখে এখন দেখি কত কথার রূপ।   আলতু ফালতু কথা ভুলে  একটু গর্ব করো,  আগামীতে ঐক্যের রশি  শক্ত করে ধরো।&nbs...

নিঃস্ব আকুতিমালা

রুক্ষপথের মোহতে আজ ফিরিয়ে দিওনা, মুঠোভরে দ্যাখো কুঁড়িয়ে এনেছি চন্দ্রাধুলি, পুঁটুলিভরা পুঁজোর ফুলে পরাবো গহনা, দৃষ্টি মেলে দ্যাখো দূরের স্বর্ণালী গোধূলি।  মুখকমল করোনা আঁড়াল প্রণয়ের রাতে, নীলনদী দ্যাখো রয়েছে তোমার অপেক্ষায়, দিব্যলোক ছেঁড়ে এসেছি আজ রিক্ত হাতে, ছুঁড়ে ফেলোনা স্বপ্নমালা নিদারুণ উপেক্ষায়।  পাথর বুকে চেঁপে আজ ফিরিয়ে দিওনা, প্রেম মন্দির ছাড়া নেই কোনো গন্তব্য, এসো জোত্স্নায় ভিজি ভুলে নীল বেদনা, ঊরুতে মাথা রেখে শুনাব যত মহাকাব্য।  তৃষালু নয়ন ফিরিয়ে দিওনা আজ অবহেলায়,  চৈত্রের দাবদাহে ঠাঁই দাও নিবিড় পান্থশালায়।&nbs...

মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০১৪

পাগলা ঘন্টা

বাংলার আকাশে ভেসে এসেছে শংকাময় ক্রান্তিকাল, চৈত্রের খরায় ফাটল ধরেছে কৃষকের পাঁজরে। উন্মত্ত শত দামাল, শুনে রেসকোর্সের মহা বজ্রবাণী, "জয় বাংলা " ধ্বনিত হচ্ছে সবার কন্ঠে সজোরে। আঁধারে ঘুমন্ত পৃথিবী, থম থম বিরাজমান চারপাশ, দুগ্ধপোষ্য শিশুটি ঘুমিয়েছে মায়ের ঘুমপাড়ানি গানে। নব বধু অপেক্ষমান রয়েছে বাসরের ফুলেল শয্যায় , বৃদ্ধা করে শান্তির আরাধনা তার সৃষ্টিকর্তার পানে। হঠাৎ ঢং ঢং ঢং করে বাজে সংকটময় পাগলা ঘন্টা, বিভীষিকাময় আর্ত-চিত্কারে তিমির আকাশ হয় ভারী। ট্যাঙ্ক-মর্টার-বাজুকায় জারজ সজ্জিত করে রাতের শহর, "অপারেশন সার্চ লাইট" নামে ভাসাবে আজ লাশের সার...

সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০১৪

কবরস্থান

আশাহত দিনান্তে টং-এর দোকানে চলমান আধুনিক সঙ্গীতের আকুতিমালায়  বিগলিত চিত্তে এলাকার নতুন ভাড়াটিয়া--  -"না ভাই এইবার আর ভুল করতাম না " "এইডা তুমি কি কও ? পত্যেকবার তো একই গান হুনি " জবাব পায় না খুঁজে, আচম্বিত- "ভাই সাব হুঁনছি গতবছর উনি-ই  বাঁইচ্যা থাহা মানুষের লাইগা এলাকার নতুন কবরস্থানের জমিনডা দিছে ??" "হ্যাঁ।" "তইলে আর কথা না কইয়্যা জিকির করো।"  আবার চুমুক লাগে শীতল চা -এর কাপ...

আজ আমি শান্ত হবো

আজ আমি শান্ত হব, মাঝে রাতে খুলে দিব বন্ধ কপাট ,   লাজুক মরুভূমির প্রাঙ্গনে জ্বালাব নিভু স্নিগ্ধ আলো।  বাঘনখের আঁচড়ে বৃক্ষের ছাল উঁপড়ে আজ শান্ত হবো, ষোড়শী পুকুরের ফুটন্ত জলস্নানে আজ আমি মুগ্ধ হবো।   গূঢ় রহস্যে অন্তরিত দৃষ্টিতে আজ আমি হুঁল ফোটাবো, সদ্য ফোটা গোলাপের সুভাস মেখে আজ হবো পবিত্র। কমলার কোঁয়া থেকে রক্ত শুষে আজ আমি শান্ত হবো,  অবশী-ভূত গুঞ্জনে আজ সৃষ্টি হবে সুখের কাল বৈশাখী।   নব উদ্ভূত উঁচু দু'পাহাড়ের চাপে আজ আমি পিষ্ট হবো, স্হূল গিরিনিতম্বের ফোয়ারায় আজ আমি ভেসে যাব।  গ্রাম থেকে গ্রামান্তর ঘুরে, খুঁজে নিব জলন্ত নাভিকুণ্ড, হাতে অঙ্গারধানীর মুখ ঢেকে আজ আমি শান্ত হবো।  ধুপকাঠির তীব্রগন্ধে আজ বিশুদ্ধ হবে আবেশী বাতাস,  নিড়ানীতে শস্যেক্ষেতের জঞ্জাল সড়িয়ে আজ শান্ত হবো।   মুঠোবন্দী কেশে  ছুঁচালো লৌহবাণে আজ রক্তাক্ত হবে, কুমারী...

শনিবার, ২২ মার্চ, ২০১৪

বিকালে ছাদের কোণে

অশান্ত ছাদের রেলিং ধরে উপরে তাকাতেই দৃশ্যমান পাখিরা ফিরে যাচ্ছে আপন নীড়ে ভুলে সকল অভিমান। সামনের প্রতিবেশী ছাদে দেখি হাস্যময়ীর নির্বাক চিত্র, অট্টহাসিতে গড়াগড়ি খায় পড়ে প্রেমিকের বিষাক্ত পত্র। নিচে সময়ের রশি ধরে ছুটে চলা অজস্র মানুষের ভিড়ে তরুণ পশ্বাধম পালায় করে ছিনতাই বৃদ্ধের বুক চিঁড়ে।  আচমকা ভাসমান কান্নার সুরে দেখি পুষ্পজীবী শিশুটি রক্তাক্ত হাঁটুতে কুড়ায় মালা, দেখে হাসে বিত্তশালী পশুটি।  শত শত কলঙ্কের নিশ্চুপ সাক্ষী হয়ে থাকি ছাদের কোণে,  নামি লজ্জিত নতশিরে ভেসে আসা আজানের সুর শুনে...

শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০১৪

নিরাপত্তাময় আশ্রয়স্থল

নারকীয় বিদীর্ণ কষ্টগুলো বক্ষে চেপে চলে এসো তুমি সামনের সরল পথ ধরে নির্দ্বিধায় তিমিত নক্ষত্রলোকে অন্তর্গূঢ় দীপ্তিময় প্রেমে অংকিত মোর নখদর্পণে  তুমি। নগনদীর স্রোতে ভাসিয়ে দিও মেঘাড়ম্বর সুখগুলোকে।  মোহনচূড়ার ঠোকরে জীর্ণদেহে চলে এসো দীপাধারে  কণ্টকীকানন পিছনে ফেলে পার হয়ে এসো পুষ্পসেতু। জারুল বনের পাশে বয়ে যাওয়া তটিনীর অভিসারে দিব্যলোকে তোমার অপেক্ষায় নিত্য সাঁজে ধুমকেতু। অবিশ্বাসের বাজার থেকে তুমি চলে এসো নগ্ন পায়ে নক্তচারী শশীর জোত্স্নায় নুন ঝড়িয়ে হও পূর্ণমাসী। দিবান্ধের কলঙ্ক মুছে ফেল মেখে নিয়ে ধুপছায়া গায়ে  দিনান্তের মৃদু পবনে হৃদয় হবে তোমার পূণ্যকাশী।  নিঃসঙ্গতার উননের পাশ থেকে চলে এসো বাহুতলে, দ্যোতনাময় চাহনিতে চরণ ভরিয়ে দিব নীলকমলে।   হংসমালা ভাসবে ভর দুপুরে উদ্ভাসিত পরম দীঘিজলে, প্রগাঢ় উষ্ণতায়...

বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০১৪

কুঞ্জকানন

আমি চির তরে দূরে চলে যাবো তবু আমারে দিবোনা ভুলিতে, আমি বাতাস হইয়া, জড়াইবো কেশ বেনী যাবে যবে খুলিতে। তোমার সুরের নেশায় যখন ঝিমাবে আকাশ, কাদিঁবে পবন, রোদন হইয়া আসিব তখন তোমারো বক্ষে দুলিতে। আসিবে তোমার পরম উৎসব কত প্রিয়জন, কে জানে মনে পড়ে যাবে কোন সেই ভিখারী পাইনি ভিক্ষা এখানে। তোমার কুঞ্জ পথে যেতে হায় চমকে থামিয়া যাবে বেদনায় দেখিব কে যেন মরে পড়ে আছে তোমার পথের ধূলিতে।। সন্ধ্যার মন্থর গতিতে বহমান বাতাসে সাথে উড়ছে বিন্ধ্যার কালো কেশ। বাতাস যেন তার কেশে খেলা করছে নিবিড় সন্তর্পণে। আর কাজী নজরুলের কবিতা দোলা দিচ্ছে মনের গহীনে। বাতাস আর কাব্যের বন্ধুত্ব পুরনো হলেও বিন্ধ্যার কাছে এই বন্ধুত্বকে আজ নিতান্তই ক্লেশ নিপীড়নের সহযোদ্ধা মনে হল। ভাবনার অতল মহাসাগরে ডুবে বিন্ধ্যা, ছুটে যেতে চায় মন খড়-কুটো দিয়ে তৈরি আবাসে আবার ক্ষনিকেই শ্যাওলা...

বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০১৪

সান্তনার আলিঙ্গন

সানন্দে হেরে যাই তমিস্রা রজনীতে, জুঁড়ায় মন সান্তনার আলিঙ্গনে।  পরাজিত বীর বেসে বিজয়ী প্রভাতে, উড়ে যাই ঊর্ধ্বাকাশের প্রাঙ্গনে।  ছল ধরা পরাজয়ের সুখকর বেদনায়, হৃদয়ে জাঁগে উত্তরঙ্গ ঊর্মিমালা।  স্রবন্তি মেঘ মালা ভিড় জমে চেতনায়,  দিগ্বালিকা দেখায় নিবিড় ধর্মশালা। বাঁজে ব্যর্থতার ডংকা ধরণী জুড়ে, উচাটনে মাথা পাতি বিষাক্ত ঊরুতে।   শত বছরের অংশিত গ্লানির চুড়ে , ভালবাসা খুঁজি তপ্ত ঊষার মরুতে। &nbs...

সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০১৪

অবলা রমণী

ঊষার ভোরে আসে না ছুঁটে চরণে নাই নূপুর , শৈলের চুঁড়ে মেলে না দেখা কাঁকনে সুর বিধুর। গাঙের তীরে বসে না একা পিছনে ছোটে কুকুর, কোথায় নারী যাবে সে আজ সামনে আছে অসুর। উদলা দুপুরে উঁইধরা মনে উঁকি দেয় উন্মনা। উথলা দরিয়া বক্ষে ধরে সুর তুলে খঞ্জনা। কলসি কাঁখে আসমান পানে খুঁজে ফিরে সান্তনা। অবলা বলে রমণীরা কেন এত পায় বঞ্চনা? সাঁঝের পবনে বাতায়ন পাশে করে শত নিবেদন, জোনাক আলোয় আউলানো কেশে চেপে যায় কান্দন। অদূরে পিশাচ কলস্বনে ডাকে দেহ করো সমর্পণ, উদজ কামিনী অভিমান করে ছুঁড়ে দেয় দর্পণ।  ...

রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৪

ঘুমন্ত কাপুরুষ

মা ও মা, তুমি দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করে দাও জনম,  ভূমিষ্ট কর নাড়িছেড়া ধন,সয়ে অসহ্য প্রসবের বেদনা।  তবে মা আমি আজ কাপুরুষের দলে এসে ভিড়েছি।  চুঁড়ি পরা হাতে সামনে চলি মাতাল হয়ে, পিছনে পরে থাকে অনাথ পথ শিশুটির আহাজারি।  তোমার নীল আকাশ ঢাকি পাংশুটে মেঘের চাঁদরে, মরণ নেশার বীজ বুনি তোমার সবুজ জমিনে সাদরে।   দিবালোকে শাঁড়ি পড়ে দাঁড়িয়ে থাকি রাজপথে, সামনে পালিয়ে যায় তোমার আরেক ছেলে অস্ত্রহাতে।  সম্বলহারা বৃদ্ধের আর্তনাদে আকাশে ধরে চিঁড়, শেষ নাটকের দৃশ্য দেখতে আমিও জমাই ভিঁড়।  ভুলে গেছি মা তোমার দুগ্ধপানে জুড়িয়েছি তৃষ্ণা। ভুলে গেছি লাখো সহোদর হয়েছে শহীদ তোমার তরে।  মাগো তোমার চেয়ে প্রেমিকাই আমার বেশি আপন, লিখে যাই অজস্র মহাকাব্য অসভ্য প্রেমিকার তরে।  নেই তোমার প্রতি কোনো প্রেম, আমি ঘুমন্ত...

শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৪

লজ্জাস্থান ঢাকিলেই হয়না লজ্জা নিবারণ।

"আপনাদের সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি , ইদানিং দূতাবাসের ভিতরে পকেটমারের উপদ্রব বেড়ে গেছে। আপনারা আপনাদের পকেট সাবধানে রাখবেন "  দুবাই -এ অবস্থিত বাংলাদশ দুতাবাস কতৃপক্ষ একটু একটু পর পর যখন এই সতর্কমুলুক বার্তাটি ঘোষণা করছিল তখন একটু বিরক্ত না হয়ে আর পারলাম না। লজ্জিতও হলাম বটে এই ঘোষণাটি শুনে। কেন লজ্জিত হলাম সেটাই বলতে যাচ্ছি। দুবাই-এর সাথে আমি আমার সোনার দেশের তুলুনা করতে চাই না। তবে তার পরও কিছু কথা আজ না বলে পারলাম না। আজকাল আমি একটু বেশি কথা-ই বলে ফেলছি। দু'কলম লিখাপড়া করেই সুযোগ পেলে দু'একটি বিবেক তাড়িত বাক্য হঠাৎ করে অনিচ্ছাকৃতভাবেই বের হয়ে যায়। বিশ্বের মানচিত্রে বর্তমানে দুবাই একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। বিশ্বের ১৮৮টি দেশের নাগরিকের অবস্থান এই ক্ষুদ্র দেশটিতে। অনেকে এসেছেন কোনো চাকুরী নিয়ে আবার...

শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০১৪

অচেতনার প্রলাপ সম্ভার

আমি জানি তুমি আসবেই , মাঝরাতে ঘুমন্ত আমাকে আচম্বিত বার্তা তুমি পাঠাবেই , বৃষ্টিস্নাত দীপ্তিতে কদম্বের ভেলায় চড়ে জানি তুমি আসবেই। ত্বড়িৎ গতিতে ধেঁয়ে আসবে অভিমানের নীল বরফ গলিয়ে,  জানি তুমি আসবেই পূঁজা মণ্ডপে, অজস্র কণ্টকশষ্যা পদদলিয়ে। আমি জানি তুমি আসবেই, পুঞ্জীভূত স্মৃতির বাণে মরিয়া হয়ে, আজ ভিড়াতেই হবে তরণী, সিঁধুর মুছে তোমাকে আসতেই হবে যদিও তুমি পরপুরুষের ঘরণী। জানি শরদিন্দু রজনীতে তুমি আসবেই মনোহর পুষ্পাবৃত বসনে, শতরঞ্জে হেরে বারবার তোমাকে বসাবো শিশিরধৌত তৃণাসনে। আমি জানি তুমি আসবেই, তোমাকে আজ আসতেই হবে পূর্ণগর্ভা হয়ে পূর্ণগ্রাসের সব বিধি ভুলে, সাপুড়ে বাঁজায় স্মৃতিরক্ষার বীণ, আজ নাঁচবেই তুমি খোলা চুলে। আজ তুমি আসবেই জানি, উঁড়াবে আমায় শরৎ-এর নীল আকাশে, লাজুক...

বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০১৪

ঘুমের ভান

জেগে থেকেও করছি ঘুমের ভান, সে কাঁকন বাঁজিয়ে জাগাবে আমায়, নয়তো দিবে লাজুক মুখে দুষ্ট হাসি। ধরবে শামুক কুড়ানোর বায়না, অথবা ঝিল থেকে পদ্ম তুলে আনার , নয়তো দিবে কানের কাছে মিষ্টি কাশি। হিমসাগরের জল ঢেলে দিবে মুখমণ্ডলে, অথবা গুনগুন করবে প্রিয় গানের কলিটি, সাড়া না পেয়ে আচমকা রেগে যাবে তাতে। ভাবতে ভাবতে অপেক্ষায় কামনাময়ীর, কর্কশ চিত্কারের খোলে যায় চোখ, দেখি দূরে সে দাড়িয়ে বাজারের থলে হাতে।  ...

সোমবার, ১০ মার্চ, ২০১৪

কর্মব্যস্ততায় জীবন

দেখো আমি আঁটকে পরেছি পরম্পরীণ দিনের জালে  অনায়াসে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে দেহ থেকে মন।  তুখোড়তা পালিয়ে যাচ্ছে অজানা বনের পথে, একাকিত্বের আসনে কাটাই স্নিগ্ধ বৈকালিক ক্ষণ।  শেষ বিকেলে আপন হয় একরাশ সজীব ক্লান্তি, হাঁপিয়ে উঠেও ছুঁটে যাই বন্ধু ঘেরা প্রেমময় গলিতে।  সবার নষ্ট গল্পগুলো আমার ক্লান্তি আরো বাড়িয়ে দেয়, ঠেলে দেয় নিজ ছায়ার  হাঁত ধরে একাকী পথ চলিতে।  সপ্তাহের কোনো একদিনে নেই প্রাণ ভরে নিশ্বাস। ধুলায়িত পথটিতে ছুঁটে যাই ব্যস্ততার বিরতিতে। মৃদু বাতাসের আলিঙ্গনে সন্ধ্যা কাটাই সন্তর্পণে , কখনো চেয়ে থাকি মোহমায়া আসার পথটিতে।  চঞ্চলা গতিতে গত হয়ে যায় হৃষ্টচিত্তের দিন, অসহ্য গন্তব্যে ছুটে যাই আবার ভোরের প্রভায়। স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে থাকে আমার অপাদমস্তক, দিন...

রবিবার, ৯ মার্চ, ২০১৪

স্মৃতির যবনিকা

হাঘরে বসে ভাবছি করবো আরেকবার, ফেলে আসা স্মৃতির যবনিকা উত্তোলন। হৃদয়াবেগের সিড়ি বেয়ে দেখি চূড়ায় তার  আজ সড়ব পথে অযাচিত বিধুর ক্ষণ।  তপ্ত রোদে শুকিয়ে গেছে কল্পসিক্ত কাঁথাটি হীনাবস্হায় দিনে দিনে নিদারুণ অবহেলায় । নিশাচর হয়ে কাঁদে প্রেমময় পাখীটি। মুক্তি কোথায় ধোঁয়াশার এই বাস্তবতায়? পিছলে হোলি উত্সবের ধুম্বল মনে আজও বাঁজে, ষোড়শীর নূপুর নিক্কনে উন্মত্ত সেই তরুণ প্রাণ। পূর্ণগ্রাসে জোনাকির আলোয় করে ধারাস্নান সাঁঝে, তিমির কান্তারে দৃশ্যত শত শিখা অনির্বাণ। পুরনো ধারাবর্ষণে ঝরতো পূর্নাবয়বের সব নুন, হৃষ্টচিত্তে মূর্ছা যেতাম দেখে অঙ্কিত ধরনীর মুখ।  এখন সহস্র জীবনকে পোড়ায় হিংসার আগুন, প্রেমহীন পৃথিবীতে আজ সবার মনেই অসুখ।&nbs...

বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ, ২০১৪

Stop Finding Mistake In Others

A boy was born to a couple after eleven years of marriage. They were a loving couple and the boy was the apple of their eyes. When the boy was around two years old, one morning the husband saw a medicine bottle open. He was late for work so he asked the wife to cap the bottle and keep it in the cupboard. The mother, preoccupied in the kitchen, totally forgot the matter. The boy saw the bottle and playfully went to the bottle and, fascinated with its color, drank it all. It happened to be a poisonous medicine meant for adults in small dosages. When the child collapsed, the mother hurried him to the hospital, where he died. The mother was stunned. She was terrified how to face her husband. When the distraught father came to the hospital and saw the dead child, he looked at his wife...

Do Not Angry

A man was putting up family pictures on the newly painted walls of his house. He was using nails and a hammer in order to hang the picture frames. In the process, some nails got bent and fell down on the floor. The man’s 4 yr old daughter was playing near by. She wanted to play with her dad and called out to him. However the man was busy with framing the pictures, and so ignored her calls and finally asked her to go outside and play with her brother. The girl saw the nails lying on the floor. So she picked up a few nails and went out to play along with her brother. After a while the son came running in and told his dad ~ that the girl was scratching the newly purchased car with the nails. The man ran outside and in a fit of rage, the furious Man took his child’s hand & hit it many times,...

Why We Shout In Anger” ~ A short story on Relationships

A Hindu saint who was visiting river Ganges to take bath found a group of family members on the banks, shouting in anger at each other. He turned to his disciples smiled ‘n asked. ‘Why do people shout in anger shout at each other?’ Disciples thought for a while, one of them said, ‘Because we lose our calm, we shout.’ ‘But, why should you shout when the other person is just next to you? You can as well tell him what you have to say in a soft manner.’ asked the saint. Disciples gave some other answers but none satisfied the other disciples. Finally the saint explained, . ‘When two people are angry at each other, their hearts distance a lot. To cover that distance they must shout to be able to hear each other. The angrier they are, the stronger they will have to shout to hear each other to cover...

A True Friend

In a battle, a soldier prepared 2 bring this wounded friend back from the field. His captian said, “Its of No use! ur friend must be dead”. But soldier still goes & brings back his friend. Seeing the dead body, Captain says “I told u its of no worth. He’s dead”. The soldier replies with moist eyes: “No sir, it was really of worth….. When i got to him, my friend saw me, smiled & said his last words: “I KNEW YOU WOULD COME”…… Collected By Amin Porobas...

A Poor Boy

One day, a poor boy who was selling goods from door to door to pay his way through school, found he had only one thin dime left, and he was hungry. He decided he would ask for a meal at the next house. However, he lost his nerve when a lovely young woman opened the door. Instead of a meal he asked for a drink of water. She thought he looked hungry so brought him a large glass of milk He drank it slowly, and then asked, “How much do I owe you?” “You don’t owe me anything,” she replied “Mother has taught us never to accept payment for a kindness.” He said… “Then I thank you from my heart.” As Howard Kelly left that house, he not only felt; stronger physically, but his faith in God and man was strong also. He had been ready to give up and quit. Years later that young woman became critically...

True Love

One day, his wife, who had very long hair, asked him to buy her a comb for her hair to grow well and to be well-groomed. The man felt very sorry and said no. He explained that he did not even have enough money to fix the strap of his watch he had just broken. She did not insist on her request. The man went to work and passed by a watch shop, sold his damaged watch at a low price and went to buy a comb for his wife. He came home in the evening with the comb in his hand ready to give to his wife. He was surprised when he saw his wife with a very short hair cut. She had sold her hair and was holding a new watch band. Tears flowed simultaneously from their eyes, not for the futility of their actions, but for the reciprocity of their love. MORAL: To love is nothing, to be loved is something but...

চট্টগ্রাম ছবি

 ভাটিয়ারী   রেলওয়ে চট্টগ্রাম  রেলওয়ে চট্টগ্রাম রেলওয়ে চট্টগ্রাম রেলওয়ে চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ভাটিয়ারী চট্টগ্রাম ভাটিয়ারী চট্টগ্রাম ভাটিয়ারী চট্টগ্রাম ভাটিয়ারী চট্টগ্রাম ভাটিয়ারী চট্টগ্রাম ভাটিয়ারী চট্টগ্রাম ভাটিয়ারী চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম  ভাটিয়ারী চট্টগ্রাম ভাটিয়ারী চট্টগ্রাম ভাটিয়ারী চট্টগ্রাম ভাটিয়ারী চট্টগ্রাম ভাটিয়ারী চট্টগ্রাম ভাটিয়ারী চট্টগ্রাম ভাটিয়ারী চট্টগ্রাম ভাটিয়ারী চট্টগ্রাম ভাটিয়ারী চট্টগ্রাম ভাটিয়ারী চট্টগ্রাম ভাটিয়ারী চট্টগ্রাম ভাটিয়ারী চট্টগ্রাম ভাটিয়ারী চট্টগ্রাম  ভাটিয়ারী চট...

রবিবার, ২ মার্চ, ২০১৪

খেলব না লুকুচুরি

তোর সাথে আর কোনদিন খেলব না লুকুচুরি  অবনীর বুকে পাই না লুকানোর কোনো ঠাঁই  ধুসর শহর দেখি তুই বিনা যেদিকে তাকাই  ঘুরে ঘুরে শেষে, তোর আঁচলের নীচেই লুকাই জিতে যাস তুই ,আমি আবার হেরে যাই। তাই , তোর সাথে আর কোনদিন খেলব না লুকুচুরি।  তোর সাথে আর কোনদিন খেলব না লুকুচুরি তোর বেলায় তুই লুকাস কোথায় গিয়ে ? দিবালোকে পাইনা খুঁজে,পাই না নব কিশলয়ে।  চন্দ্রালোকে খুঁজে মরি, বিধুর পরজ বাজাই হন্য হয়ে।  আমি আবার হেরে যাই, তুই হাসিস খেলায় জয়ী হয়ে।  তাই, তোর সাথে আর কোনদিন খেলব না লুকুচুরি।  ...

শনিবার, ১ মার্চ, ২০১৪

সাড়া দেই ভালবাসার ডাকে

দরজায় তোমার করাঘাতের শব্দ শুনে আমি হুমড়ি খেয়ে পড়ি   উঠে যাই কল্পিত অযোধ্যার সিংহাসন থেকে অকুন্ঠচিত্তে  ভাবি,আজ বুঝি তোমার হাত ধরে সূর্য  উদয় দেখব।  খুলে দেই অন্দু পরা হৃদয়ের দরজাটা আবার, দেখি  তুমি হেটে চলে যাচ্ছ শুভ্র  কুয়াশার মাঝে সাদা শাড়ি পরে. তোমার সূর্য স্নানের আহ্ববানে আমি ভুলে যাই সব নিষিদ্ধ কাল, অসহমান বেগুনি রশ্মির নীচে ছুটে আসি এক্সিপিতে আক্রান্ত আমি।  ভাবি, আজ বুঝি তোমার স্পর্শে দূর হবে বিরল ব্যাধি যত।  অপেক্ষমান আমি লুটিয়ে পরি ধুলোতে বারংবার, দেখি  তুমি পুষ্কর খোঁজো খেয়ায় ভেসে করে ইচ্ছামতির ইচ্ছাবদল।  তোমার বৃষ্টি বিলাসের ডাকে আমি সাড়া দেই সাঁঝের বেলা,  প্রিয় পিয়ানোটি ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বৃষ্টির শব্দে...

Page 1 of 3412345Next
Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

 
Design by প্রহেলিকা