বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০১৪

ঋণ

ভর দুপুরে জলে ভাসে তাজা মাথার খুলি।সাংবাদিকের সাথে গিয়ে,সবাই ছবি তুলি। পরিচয় তার জানে না কেউ,কোন গ্রামেই বা তার বাস। আশেপাশের সবাই বলে,ইশ একি সর্বনাশ!হঠাৎ করে দৌড়ে এসে,মা খুঁজে তার ছেলে। ছেলে তার বলে না কথা,চোখে আগুন জ্বলে।অন্ধ মায়ের কান্না ভাসে,সবুজ শ্যামল দেশে। বোন কাঁদে তার ভাই-এর জন্য বিচার পায় না শেষে। দেশটারে কে খেলো গিলে,আর খাবে কত দিন?সময় বাপু আসছে তেড়ে,শোধ করতে হবে ঋণ।...

বুধবার, ২৮ মে, ২০১৪

শ্ববৃত্তি

ছুঁড়ে ফেলে অনুপ কাব্যের কুৎসিত পাণ্ডুলিপি,উগড়ে দিয়ে সুবজ শেকড়ের নির্যাস-অপাদমস্তকে মেখেছি আধুনিকতা।কতই না করেছিলি উপহাস তোরা-কাকের কা কা-এর কর্কশ সুরে-দেখে শিশির দলিত ভোরের তেজস্বী ছটা।আজও জানি চিপটান কাটবি-হা হা করে, অন্তপুরের কুপিত বায়ুতে-কপট শয্যাতেই বিছিয়ে দিবি জায়নামাজ। আর আমি!পৌঁছেছি অস্বাক্ষরিত সংবিধানের শেষ পৃষ্ঠায়,অপ্রহত কাননে বিমূঢ়তার পৃষ্ঠে করতে ভ্রমর চাষ।...

মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০১৪

প্রহেলিকার আত্মকথন-৪

রোষিত বাতাসের বিক্ষুব্ধতায় সচকিত মোড়ে ঝুলন্ত উর্বশী। কাঁচ জানালার স্বচ্ছতায় দেখি অনুক্ত শব্দের মিছিল তার চোখে। প্রত্যুষ পূর্বেই জেগে উঠা ঘোর কাটে মায়াবিষ্ট সপ্রতিভ দৃষ্টিতে। দেয়ালের স্থির চিত্রটি হঠাৎ স্বশব্দে নড়ে উঠে অশ্লীল শুন্যালয়ে। ক্রমশ বাড়তে থাকে দৃষ্টিক্ষুধার তপ্ততা। স্থিত হাসির মরিচিকায় দ্রবীভূত লবন স্তর, নিমিষেই স্পষ্টিত সহস্র যোজন দূরে দাঁড়িয়ে থাকা জ্যোৎস্নাহীন রাতে যুগল প্রণয়ের প্রতিবিম্ব। আমিও তাকিয়ে দেখি কত ব্যাকুলতায় আলো বিলিয়েছে জোনাকী! তর্জনীর ইশারায় দোদুল্যমান মেঘগুলো ঝরেছিলো বৃষ্টি হয়ে রৌদ্রদগ্ধ অবয়বে, সৃষ্টি হয়েছিলো শীৎকারের মহানাদ। অগ্নিকেতুর অস্বচ্ছতায় মত্ত হয়ে জড়িয়েছিলাম সেদিন; আর্দ্র ওষ্ঠের আড়ালে নিলীন সূর্যশিশিরের ইন্দ্রজালে। আজ অবোধেই চলি ছাঁয়াশুন্য পথ; পিছনে ফেলে রেখে প্রহেলিকার জলাশয়। এভাবে আর তাকিও না হে উর্বশী, যদি দৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় নিরুদ্ধ জলপাহাড়, কক্ষভ্রষ্ট...

রবিবার, ২৫ মে, ২০১৪

অনন্ত -মিথিলা (আবুল হোসেন খোকন)

অনন্ত, মেহিদি পাতা দেখেছ নিশ্চয়?উপরে সবুজ, ভেতরে রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত-নিজেকে আজকাল বড় বেশি মেহেদি পাতার মতো,মনে হয় কেন?উপরে আমি অথচ ভিতরে কষ্টের যন্ত্রনার-এমন সব বড় বড় গর্ত যে-তার সামনে দাড়াতে নিজেরী ভয় হয়, অনন্ত।তুমি কেমন আছো?বিরক্ত হচ্ছ না তো?ভালোবাসা যে মানুষকে অসহায়ও করে তুলতে পারে-সেদিন তোমায় দেখার আগ পর্যন্ত-আমার জানা ছিলো না।তোমার উদ্দাম ভালোবাসার দূতি-জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে ফেলেছে আমার ভিতর-আমার বাহির-আমার হাতে গড়া আমার পৃথিবী।অনন্ত, যেই মিথিলা শুখী হবে বলে-ভালোবাসার পূর্ণ চঁন্দ গিলে খেয়ে-ভেজা মেঘের মতো উড়তে উড়তে চলে গেল,আজ অন্য শূন্য, অনন্তকে আরো শূন্য করে দিয়ে-তার মুখে এসব কথা মানায় না,আমি জানি-কিন্তু আমি আর এভাবে এমন করে পারছি নাআমার চারদিকের দেয়াল জুড়ে থই থই করে-আমার স্বপ্ন খুনের রক্ত।উদাস দুপুরে বাতাসে শিষ দেয়তোমার সেই ভালোবাসাপায়ে পায়ে ঘুরে ফেরে ছায়ার...

তোমার চোখ এতো লাল কেন? – নির্মলেন্দু গুণ

আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে , আমি চাইকেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক,শুধু ঘরের ভেতর থেকে দরোজা খুলে দেবার জন্য ।বাইরে থেকে দরোজা খুলতে খুলতে আমি এখন ক্লান্ত ।আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাইকেউ আমাকে খেতে দিক । আমি হাতপাখা নিয়েকাউকে আমার পাশে বসে থাকতে বলছি না,আমি জানি, এই ইলেকট্রিকের যুগনারীকে মুক্তি দিয়েছে স্বামী -সেবার দায় থেকে ।আমি চাই কেউ একজন জিজ্ঞেস করুক :আমার জল লাগবে কি না, নুন লাগবে কি না,পাটশাক ভাজার সঙ্গে আরও একটাতেলে ভাজা শুকনো মরিচ লাগবে কি না ।এঁটো বাসন, গেঞ্জি-রুমাল আমি নিজেই ধুতে পারি ।আমি বলছি না ভলোবাসতেই হবে, আমি চাইকেউ একজন ভিতর থেকে আমার ঘরের দরোজাখুলে দিক । কেউ আমাকে কিছু খেতে বলুক ।কাম-বাসনার সঙ্গী না হোক, কেউ অন্তত আমাকেজিজ্ঞেস করুক : ‘তোমার চোখ এতো লাল কেন ?’’ সংগ্রহ: আমিন পরবাসী...

শুক্রবার, ২৩ মে, ২০১৪

জীবনান্বেষণ

কখনো কখনো কেউ ব্যাকুল হয়ে উঠে অনামক জীবনের খুঁজে,অথবা নিরাকার আলিঙ্গনে নিতে স্বার্থকতার স্বাদ চোখ বুঁজে।দেখি সুনির্দিষ্টতার শেকল পরে পঞ্চালিকার সকাতর নিস্তরঙ্গতা,উজ্জ্বল বার্নিশে ঢেকে ব্যর্থতা, অনামুখে নিজের সাথেই শঠতা।বর্ণচোরার রুপবাহুল্যে বিভোর হয়ে উঠে নিজেকে বিলাতে,স্বপ্নকারের ধূর্ত নয়নে চায় যে অন্তর্বাহী সুখ চৈত্রের খরাতে।অনুগ্রহের জলস্নানে চায় পুণ্যতার স্বীকৃতি, করে না সমর্পণ-অপ্রতিম চাহনীতে, বইতে চায় না কোনো উপেক্ষার ভারার্পণ।অশিথিল উৎসুক নয়নে প্রতি মুহূর্তে পারমানবিক বিস্ফোরণ,তবুও খুঁজে জীবন, অরণ্য রোধন, অতঃপর আঁধারে আস্তরণ। মা'য়ের শাসনবৃত্তে যখন বন্দী ছিলো কৈশোরের তুখোড়তা,বাবার সুতীক্ষ্ণ দৃষ্টি যখন বয়ে এনেছিলো সাময়িক জড়তা,মনে পরে সেদিন বলেছিলাম, জীবন তুমি কি ভবঘুরে হয়ে-কাটানো পথিকের প্রতিবিম্ব? মলিন মুখে ঝরো উচ্ছ্বাস হয়ে? নাকি কোনো পাঠকের শেষ অধ্যায়? অপূর্ণতার দীর্ঘশ্বাস?জবাব দেয়নি,...

বুধবার, ২১ মে, ২০১৪

বাংলার গ্রাম

বাংলার গ্রাম  কচুরিপানা    সবুজ বাংলা বর্ষাকাল সবুজ বাংলা  কচুরিপানা  কচুরিপানা   সবুজ বাংলা   কচুরিপানা    কচুরিপানা    কচুরিপানা    সবুজ বাংলা  সবুজ বাংলা   সবুজ বাংলা   কচুরিপানা    সবুজ বাংলা   কচুরিপানা    কচুরিপানা    ...

সভ্য সমাজ

আচ্ছাদিত হইনি অভিপ্রায়ের চাদরে,কখনোই ভাসিনি দিগবিজয়ের সাগরে। চাইনি আকাশচুম্বী দালানের দাম্ভিকতা,কোমল বিছানায় হোক দাহিত সরলতা। অস্বচ্ছ নয়নে শুধু মেতে ছিলাম ব্রতে, ক্ষণস্থায়ী এই সমাজের বাসিন্দা হতে।কিন্তু দরিদ্রতার দুর্গন্ধে নাক চেপে ধরে,সুতীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে বললে "যাও দুরে সরে"।ফিরেছি অসংগত ইচ্ছার কপাট থেকে,তাই আক্ষেপে জ্বলিনি সভ্য সমাজ দেখে।...

মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০১৪

পথের মায়া

চাইলেই ফিরে যেতে পারতাম শিথিল দেহে,নিরেট কুয়াশার বুক ভেদ করে নিকৃষ্ট ব্যর্থতায়,হয়তোবা ফিরতে পারতাম প্রসিদ্ধ দক্ষতায়-অস্বীকৃত পথের শেষ প্রান্ত থেকে অনায়াসে।সুনিপুনে ভষ্মিভূত করে মর্ত্যের চোরাবালিকে-ফিরে যেতে পারতাম নলখাগড়ার বনে।কেন ফিরে যাব? যে পথে হেঁটে এসেছিদিন রাত্রির বৈষম্যতা ভুলে, অনাহারে-শুকিয়ে খাদ্যনালী অপেক্ষমান ক্যান্সারের, দরিদ্রতার তান্ডবে এলোমেলো বাবুই নীড়। তেজো মূর্তিকে ফেলে ধূলোময় পথ ধরে -হেঁটে এসে আজ কেনইবা ফিরে যাবো?আর ফিরবোনা; অন্ধত্ব লাভ করুক স্হিত দৃষ্টি।সবুজ মেঘগুলো নেমে আসুক বৃষ্টি হয়ে,কাদামাটিতে রুপান্তরিত হোক শেষ অবলম্বনটুকু।অসাড় দেহে চাইনা প্রলুব্ধিত সতেজ নয়ন,আজ বরং তারা আবৃত হোক গাঢ় অন্ধকারেই।হোক আধিখ্যেতা! অজ্ঞাত পাপের উপ শাখায়-ঝুলিয়ে সভ্যতার পোষাক, জন্মাক আজ নগ্নতা। ...

শনিবার, ১৭ মে, ২০১৪

প্রহেলিকার আত্মকথন-৩

বিনিপাতে বিপর্যস্ত অদৃশ্য মানবী, দুরত্ব রেখাকে প্রলম্বিত করে নিরুদ্দিষ্ট হয়েছে নিশ্চুপে। পাচ্ছিনা তার কোনো পদচিহ্ন এই অপ্রশস্ত ভোরে; হারিয়েছে কোন পথে অজানা সুরে? বলে যায়নি কিছুই আমাকে; জাগবে কি'না ক্লান্ত হলে এই দু'চোখে কিংবা কৃত্তিম অন্ধকারে রাতের অবসানে। তবে জানি আমি, ধর্ম তার দিনান্তে অমর হবার। ক্লান্ত দেহে বীজ বুনে সে সতেজতার। নিয়ে যায় সুবর্ণময় দ্যোতনায় কল্পরাজ্যের অভিসারে। তার হন্তব্য দৃষ্টিতে শীতল হয় ব্যর্থ দিনের যন্ত্রণার লাভা। তার অস্পর্শতায় জ্বলছি অহরাত্রিতে নির্দয় সন্তাপে। ঘর্মাক্ত শরীরেই আজ অপেক্ষারত সেই মানবীর, যে কিনা রাতের আঁধারে এসে বিমোহিত করতো অযাচিত আলিঙ্গনে।   প্রতি নিমিষেই বাড়তে থাকে আলোকরশ্মির ঘনত্ব। দেহকে করে স্বেদসমুদ্রে সন্তরণ; স্বপ্নাবিষ্ট এই নয়নযুগল চেয়ে থাকে তার ফেরার পথে। ...

শুক্রবার, ১৬ মে, ২০১৪

বাংলা ছন্দ

শুভেচ্ছাছন্দ : কাব্যের রসঘন ও শ্রুতিমধুর বাক্যে সুশৃঙ্খল ধ্বনিবিন্যাসের ফলে যে সৌন্দর্য সৃষ্টি হয় তাকে ছন্দ বলে। (বাঙলা ছন্দ : জীবেন্দ্র সিংহরায়)অর্থাৎ, কবি তার কবিতার ধ্বনিগুলোকে যে সুশৃঙ্খল বিন্যাসে বিন্যস্ত করে তাতে এক বিশেষ ধ্বনিসুষমা দান করেন, যার ফলে কবিতাটি পড়ার সময় পাঠক এক ধরনের ধ্বনিমাধুর্য উপভোগ করেন, ধ্বনির সেই সুশৃঙ্খল বিন্যাসকেই ছন্দ বলা হয়।বিভিন্ন প্রকার ছন্দ সম্পর্কে জানার পূর্বে ছন্দের কিছু উপকরণ সম্পর্কে জেনে নেয়া জরুরি। আর ছন্দ সম্পর্কে পড়ার আগে আরেকটা জিনিস মাথায় রাখা দরকার- ছন্দ সর্বদা উচ্চারণের সাথে সম্পর্কিত, বানানের সঙ্গে নয়।অক্ষর : (বাগযন্ত্রের) স্বল্পতম প্রয়াসে বা এক ঝোঁকে শব্দের যে অংশটুকু উচ্চারিত হয়, তাকে অক্ষর বা দল বলে। এই অক্ষর অনেকটাই ইংরেজি Syllable-র মত। যেমন-শর্বরী- শর, বো, রী- ৩ অক্ষরচিরজীবী- চি, রো, জী, বী- ৪ অক্ষরকুঞ্জ- কুন, জো- ২ অক্ষরযতি বা ছন্দ-যতি...

বুধবার, ১৪ মে, ২০১৪

অমর যন্ত্রণা

অপেক্ষার বাঁধন ছিড়ে আসবেই সেই পূর্ণিমার রাত,প্লাবিত করবে ধরণীর কালো; শীতল জ্যোৎস্না প্রপাত।হাসির অন্তরালে গজিয়েছে যত মলিন বৃক্ষের শেকড়,মাতাল নৃত্যে মাতবে সেদিন দেখে প্রতীক্ষিত চন্দ্রকর।বিষন্নতায় ঢুলন্ত নয়ন সেদিন সজীব হবে মালশ্রীর সুরে, সুখলতায় ছাওয়া আঙ্গিনায় ভাদ্দুরে বৃষ্টি ঝরবে অঝোরে।  নিরালস্যে স্নিগ্ধ শিশিরেরা জেগে থাকবে ভোরের দর্শনে,চরণে তোমার লুটুবে তারা বিমোহিত রূপের আকর্ষণে। অভিমান ভুলে নিস্তরঙ্গ নদীটি জেগে উঠবে উদ্দীপনায়,সচতুর বাতাস উড়াবে কেশ তোমার ডেকে দ্যোতনায়।পথভ্রষ্ট হবেনা তুমি আঁধারের ইন্দ্রজালে অতন্দ্র পাহারায়,অঙ্গীকারের আড়ালে ভ্রমর বাধবে বাসা অতুল দক্ষতায়। পাবে বিশল্যতা যার অপেক্ষায় ছিলে অশোক কাননে। বিজিত মুকুটে নীলাচলে বসবে তুমি সম্রাজ্ঞী আসনে।      সেদিন ক্রুশবিদ্ধ হবে সাফল্য তোমার তেজদীপ্ত সাধনায়,হয়তোবা সেদিন তুমি পূর্ণতার হিসাব কষবে নির্ভাবনায়।...

মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০১৪

তিনটি অনুবাদ কবিতা

অভিশাপ==============================পথিক,পাশ কাটিয়ে যাও যদি অবহেলা করেবজ্র আর শিলা যেন তোমার মাথায় ভেঙ্গে পড়ে।অতিথি,তোমার মন যদি না ভরে এ পশরায়বজ্র আর শিলা যেন ভেঙ্গে পড়ে আমার মাথায় ।  রুশ কবি রসুল হামজাটফ ।(অনুবাদ-আবুল হোসেন) উপদেশ==============================এক বৃদ্ধ বাজ এক তরুণ বাজকে ডেকে বলে-যাও বাছা,যাও উরে মহাশূন্যে,সানন্দে সোনারডানা মেলে। নিজের শিরার গনগনে আগুন জ্বলেওঠাই যৌবন।যাও যুদ্ধে, বিবাদে ঝরাও মধুজীবনের চাক ভেঙে । যে আনন্দ ক্ষিপ্র ছোঁ-মারার,সে মৃত পায়রার রক্তমাংসের জন্যে নয় শুধু ।(অনুবাদ-আবুল হোসেন)কতটুকু সোনা========================পাশের বাড়ীর সোনারু মশায়কষ্টি পাথরে ঘষে বলে দেয়এক মুহূর্তে অতি সহজেইকোনটি সোনা, কোনটি তামার।আমার লেখার হে সমঝদারপাঠক, আপনি আছেন বলেইজেনেছি আমার কাব্যের গহনায়কতটুকু সোনা , খাদ-ই বা কোথায় ।রুশ কবি রসুল হামজাটফ ।(অনুবাদ-আবুল হোসেন)================================== সংগ্রহে...

সোমবার, ১২ মে, ২০১৪

কাঠবিড়ালি

আমার সঙ্গে খেল্বি আয় ,দৌড়ে অমন পালাস কেনগাছ থেকে গাছে ডালপালায় ?বন্দুক আছে আমার যেন,গুলি ক’রে মেরে ফেলবো তোরে,চেয়েছি যখন এইটুকুইমাথাটা চুলকে দেবো শুধুই।তারপর যাস দৌড়ে জোড়ে ।(উইলিয়াম বাট্লা‌র ইয়েট্স‌) আবুল হাসান সংগ্রহে : আমিন পরবাসী ভায়া শ্রদ্ধেয় ছাইরাছ হেলাল। ...

কবির স্বভাব

এক কবি তার বউয়ের জন্য লিখেছিলেন পদ্যঃসোনা আমার,মনি আমার, জীবনভরা মদ্য,তুমি যখন আছে থাক লাগে কি যে ভালো।চলে গেলে ফুরিয়ে যায় জীবন থেকে আলো ।একটু পরে ঘরের মধ্যে এলেন কবির স্ত্রী,তাকে দেখে কবির মেজাজ চড়লো বেজায়,কী,আবার তুমি এলে কেন বাগড়া দিতে আজ?দোহাই তোমার,দাও আমাকে একটু করতে কাজ।  রুশ কবি রসুল হামজাটফ ।(অনুবাদ-আবুল হোসেন) সংগ্রহে: আমিন পরবাসী ভায়া শ্রদ্ধেয় ছাইরাছ হেলাল। ...

লোকালয়

মুদ্রাদোষের সমুদ্রে সাঁতার কাটতে গিয়ে হাঙ্গরের মুখে সম্মুখীন হয়েছিলাম, তাই বলে এতো সাধ করে খনন করা সমুদ্রে সাঁতার না কেটে কি পারা যায়?মন্থর বাতাসের কুলগ্নে কুলঙ্গি থেকে দিন পঞ্জিকা নামিয়ে উল্টে যাচ্ছি উন্মীলিত করে রাখা পাতাগুলো, যতই উল্টাচ্ছি ততই সক্রিয় হচ্ছে ঘ্রাণেন্দ্রিয়, খুব চেনা সুঘ্রাণ ভেসে আসছে, না না পঞ্জিকার পাতায় কাটা দাগের মত পুরোনো নয় একদম সতেজ, সদ্য প্রস্ফুটিত গোলাপ সুভাষ। যতই উল্টে যাচ্ছি ততই নিকটে আসছে। শকুন্তলা নয়, নয় দুর্গামাতা,গত রাতে স্বপ্নে এসে হিম পরশে ছুয়ে যাওয়া পুষ্পবতী। জড়ীভূত হাত চেপে ধরে আতপ্ততায় ঠিক যেমনটি করেছিলো গতরাতে। লোকালয় দেখবো বলেই বাঁধা দেইনি কোনো, সাথে ছিলো স্বপ্নের মত না হারানোর প্রতিঙ্গা। কথা রেখেছে নিয়ে এসেছে কাঙ্খিত লোকালয়ে সময়ের দুর্দৈব দৈর্ঘ্য পার করে। পড়ি মরি করে তাকিয়ে দেখি বিচরিত সকল সুখকে পূর্ব জন্মের পর-হিংসা ভুলে।নতুন নগরীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশে...

উদীক্ষণ

ক্ষণজন্মা আজ তুমি অগ্নিজলে ডুববে, জানি- পুড়বে তুমি, সাথে পোড়াবে জরাহীন আর্জুনি। ঝরা পাতার স্তুপটি জ্বলবে দাউ-দাউ করে,পোষা নক্ষত্ররা পালিয়ে যাবে বিকট চিৎকারে।কেউ আসবেনা নিকষ আঁধারে জঞ্জাল পেরিয়ে-অগ্নিজলে করবেনা সন্তরণ উদ্ধত বুকে জড়িয়ে।প্রভাতের সঙ্কুচিত দৃষ্টিতে ঝরবে বিদ্রুপের লাভা,ঊর্ধদৃষ্টিতে নিজেই নিজেকে হারাবে, বিলুপ্ত শোভা।পালাচ্ছে তোমার সকল চন্দ্রধর, বৈরী জ্যোৎস্নায়-বলেছিলো যারা আঁকবে তোমার মুখ পদ্মঈষীকায়।কালো ধোয়ায় আচ্ছাদিত নির্মুক্ত নীল আকাশ,প্রকম্পিত ধরণী! কি খুঁজছো? যন্ত্রণার নিকাশ?ভয় পেয়োনা, আসছি, অগ্নিগর্ভেই বুকে জড়াবো।পরিপুষ্ট বক্ষে পুষিত আগুনে আগুন পোড়া...

মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০১৪

নিকারাগুয়া (অনুবাদ কবিতা)

NIKARAGUA (নিকারাগুয়া) =============================== Trees are lucky because they barely sense a thing.    Stones, as well, because they’re hard, beyond all feeling. No pain’s greater than the pain of being aware. Human consciousness produces the worst despair. To be, yet know nothing with no clear way to go, the fear of having been, a future terror, too, the unerring dread of being dead tomorrow, and suffering through life and through shadows and through the unknown and what one cannot anticipate, the temptation of flesh, the fresh fruit still to come, our tombs and the memorial laurels that await, not knowing where we’re going or even where we’re from! =========================================== তরুরা সুখী কারণ তারা চেতনাহীন বললেই চলে : নিরেট পাথর অনুভূতিহীন বলে আরো...

অযোগ্য সন্তান

মাতঙ্গী হয়ে আর তুমি নিশ্চুপ থেকো না, ধরনীতে নেই আর সেই কাপ্তান, বেসামাল বাতাস তেড়ে আসছে মা, ঘুমিয়ে রয়েছে এখনো তোমার সন্তান।পরমাদরে আগলে রেখে কি পেয়েছো সংসারে ছাড়া বিধূর ক্ষণ? নির্মায়িক ধরনীতে বেজন্মা ছেলে নাঁচে দেখে তোমার ঝুলন্ত স্তন। প্রতিমার সম্মুখেই সহোদরের পেট চিরে করে মাতাল নৃত্য অশঙ্ক চিত্তে, পদ্মাকরে ভাসমান অসাড় দেহগুলোই তোমাকে বন্দী করে কলঙ্কের বৃত্তে। দ্যাঁখো আর কেঁদো না, তুমি বরং সানন্দে আত্মহত্যা করো আজ, যখন পারবেইনা ফিরে যেতে ষোড়শী যৌবনে মুছে কালো লাজ। &nbs...

তুমি বললে

তুমি বললে এক কথাতে নয়ন বন্ধ করে,স্টেডিয়ামের মাঝখানেদাঁড়াব কান ধরে। লজ্জা ভুলে সহস্রবার  করে যাব উঠবস।সাত সকালে চাইলে খাবতিতা করলার রস। হাসলে হাসুক জগৎবাসীখদ দিবোযে নাকে।ভুল হবেনা আর কোনদিন,জীবন চলার বাঁকে। তাতেও যদি মন না গলে,না আসো আর ফিরে।তাবিজ, কবচ করব তোমায়, জ্বীনে রাখবে ঘিরে। সুযোগ পেলেই মুচড়ে দিবেঘাড়ের বাঁকা রগ।বুঝবে তুমি সেদিন ক্যামনেডিম পারে মোরগ। বি: দ্র: বিপদের সময় হাসতে নে...

শুক্রবার, ২ মে, ২০১৪

ধারা

নয়নঅপরূপ, নিরুপমচূর্ণ করে শিলা, ডাকে দ্যোতনায়দেখেছি আমিও নিষ্পলকেকাজলকালো সুবর্ণ।প্রেমবলধর, পবিত্র, অভ্রভেদীবাঁচায় সুখে, মারে যাতনায়পাবো না কি কখনো দেখাজ্বলন্ত সুখের শেকড় ?বিরহঅশান্ত, নিষ্ঠুর, তপ্তময়হত্যা করে জীবন্ত, দুঃখে হাসেদেখেছে যে সেই জানে সে কতহিংস্র প্রাণী।স্মৃতিঅবিনাশী, অনন্তজাগে বারংবার, কাঁদায়,জ্বালায়কখনো কি হবে না বিলুপ্তঅসভ্য আকৃতি? ...

Page 1 of 3412345Next
Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

 
Design by প্রহেলিকা