এখন কি সেই বৃক্ষের কান্নার শব্দ শুনতে পাও; ভর দুপুরে যার কাছে ছুটে যেতে লোকচক্ষুর আড়ালে? রঙিন লিলেনে আবৃত করে চাঁদমুখটি ছুটে গিয়েছিলে কত নিষিদ্ধ সময়ে? কলঙ্কের আশঙ্কায় যখন আঁতকে উঠেছিলে, ল্যাম্প পোস্টের আলোতে দেখে নিজের প্রতিবিম্ব, তখনি অদম্য ব্যাকুলতায় সে ছুটে এসেছিলো স্থানচ্যুত হয়ে। সুপ্রশস্ত বুকে জড়িয়ে দূর করেছিলো ভয়্সমগ্র, ভেজা চুলে বুলিয়েছিলো বিশ্বাসী হাত। মনে পড়ে কি সেদিনগুলোর কথা? নতজানু হয়ে বলেছিলে, তার সবুজ শেকড়ের নির্যাস পানে পূর্ণতা চাও, তুমি হাসতে চাও সদ্য গজানো সবুজ পত্রের মত; মনে পড়ে কি? তোমার আকুতিতে দ্রবীভূত তার নিরেট দেহ। এক নিমিষেই ছুটে গিয়েছে, “পৃথিবী”-এর বুক থেকে “প” কে কেড়ে এনে তোমাকে দিয়েছে “পূর্ণতা”, অবিলম্বে ফুটিয়েছে হাসি নিস্বার্থে। আজ কি তার কোনো খবর রাখো; যে তোমার ওষ্ঠে ওষ্ঠ রেখে কষ্ট শুষে নীল হয়েছে? চির সবুজ বনানীতে দাঁড়িয়ে রয়েছে নগ্ন নীল বৃক্ষ হয়ে?
পূর্ণতার দর্পণে উদ্ভাসিত মুখ দেখে; আজ নিশ্চই তোমার কোনো দুঃখ নেই। এখন তোমার হাসিতে বাতাসের পিঠে চড়ে বৃষ্টিরা নেমে আসে ঝুলবারান্দায়, আকাশের বুকে প্রসারিত হয় উদোম রংধনু, এই এক চিলতে হাসিতেই সৃষ্টি হয়ে সুবিশাল সমুদ্র অতঃপর তার ভূতলে হারিয়ে যায় মঙ্গল, বুধ, শুক্র এবং “প” বিহীন পৃথিবী।
পূর্ণতার দর্পণে উদ্ভাসিত মুখ দেখে; আজ নিশ্চই তোমার কোনো দুঃখ নেই। এখন তোমার হাসিতে বাতাসের পিঠে চড়ে বৃষ্টিরা নেমে আসে ঝুলবারান্দায়, আকাশের বুকে প্রসারিত হয় উদোম রংধনু, এই এক চিলতে হাসিতেই সৃষ্টি হয়ে সুবিশাল সমুদ্র অতঃপর তার ভূতলে হারিয়ে যায় মঙ্গল, বুধ, শুক্র এবং “প” বিহীন পৃথিবী।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন