-বালুঝড় দেখেছ কখনো?
-না'তো দেখিনি। তুমি দেখেছো ?
-না, আমিও দেখিনি তবে অনুভব করতে পারছি তোমার হাতের স্পর্শে।
-আমার হাতের স্পর্শে? কি বলছ তুমি এসব? আমার হাত যে তোমার হাতে বন্ধী।
-আমার হাতে তোমার হাত রয়েছে বলেই তো বুঝতে পেরেছি। ধমনীতে রক্ত সঞ্চালনের ধ্বনিই আমাকে জানিয়ে দিয়েছে তোমার বুকে কত উত্তাল ঝড় বইছে।
রবির শেষ কথাটি শুনে খানিকেই থমকে যায় ছায়া, এই মাত্র বুঝি সশব্দে বিস্ফোরিত হলো গোধুলির স্নিগ্ধ আলো বিলানো সূর্যটি। মুহূর্তেই অবরুদ্ধ অশ্রুর ফোয়ারা বইতে শুরু করে।
-আমাকে এখন যেতে দাও, আমি চলে যাবো।
অশ্রু মুছতে মুছতে বলে ছায়া।
-এই তোমাদের একটা সমস্যা, অল্পতেই চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরে, কিন্তু আমাকে দেখো এক ফোটা অশ্রুও ঝরেনি আজ অবধি, যন্ত্রণার তপ্তায় নিজেদের গুছিয়ে বরফ হয়ে তারা ভালই রয়েছে আজও।
-আমি এখন যেতে চাই, খানিক বাদে আঁধার নেমে যাবে, তুমিতো জানই আমি আঁধার নই আলোর সঙ্গী।
-হ্যাঁ, জানি বলেইতো বলছি' এখন তুমি যেতে পারবে না, সূর্যটি এখনো যে মাথার উপরে নীল আকাশকে রক্তাম্বর পরিয়ে দিব্যি হেসে যাচ্ছে। আঁধার নামার পূর্বে তুমি কিভাবে যাবে?
আবার ছায়া চুপসে গিয়ে হাঁটতে থাকে নাক বরাবর ধুলায়িত পথটি ধরে। কথার ফাঁকে কখন যে রবির হাতটি ছেড়ে দিয়েছে সে নিজেই টের পায়নি শুধু তার নিজের দ্রুত উঠানামা করা শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যাকুলতা ছাড়া। নিরবেই হেটে চলছে দু'জন, দু'জনের যেন একটিই আকাংখা, সূর্য ডোবার।
-কেমন আছো তুমি?
নিরবতা ভেঙ্গে দিয়ে ছায়া বললো।
-হা হা হা যাক শেষ বেলাতে এসে তাহলে জানতে চাইলেই কেমন আছি আমি! ভেবেছিলাম তুমি জানতে চাইবে না আমি কেমন আছি কারণ তুমিতো জানতেই সেই প্রথম থেকে আমি কেমন থাকবো। মনে আছে শেষ বারের পত্রটিতে তুমি বলেছিলে আমি নাকি অনেক ভালো থাকবো? আমি তোমার সেই বিশ্বাস আজও ভঙ্গ করিনি। আজও আমি তেমনি আছি যেমন তুমি চলে যাবার ঠিক পরমুহুর্তে ছিলাম।
-ভুলে যাওয়াই ভালো, যখন আর ফিরে যাওয়া যাবে না ফেলে আসা মুচড়ে যাওয়া দিনের কাছে। তখন কেনইবা আর মনে রাখা?
এই বলেই ছায়া চলে যেতে উদ্ধত্য হলে রবি তার হাতটি আচমকা শক্ত করে ধরে ফেলে। সাথে সাথে ক্ষুদ্ব হয়ে উঠে রবি। হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে যাওয়া রবি বুঝতেই পারেনি কোমল হাতের চুঁড়ি ভাঙ্গার শব্দ।
-তোমাকে না বললাম তুমি সূর্য ডোবার আগে যেতে পারবে না? তুমি কি বুঝতে পারোনি আমার কথা?? চুপ করে থাকো ব্যাস।
ছায়া পারলো না তার হাত থেকে নিজের কোমল হাতটি ছাড়াতে শুধু তাকিয়ে থাকলো ক্রোধে জ্বলজ্বল করা রবির চোখের দিকে।
-আমি চলে যাওয়ার পরও তুমি তোমার রাগকে দমাতে পারোনি? ভেবেছিলাম আমি চলে গেলে হয়তো ক্রোধের ইন্দ্রজাল থকে বেড়িয়ে আসতে পারবে তুমি, কিন্তু তুমি যে ঠিক আগের মতই রয়ে গেলে রবি। তোমার ক্রোধের পলিতে ভরাট নদীতে আমি সাঁতার কাটতে পারবোনা বলেই চলে গিয়েছিলাম।
-তুমি চাইলে কি পারতে না এই আগুনের ফুলকিকে তোমার শীতল বুকে নিয়ে ক্ষান্ত করে দিতে?
-আমি আর পুরোনো কথা মনে করতে চাইনা, আমার জন্য সবাই অপেক্ষা করছে আমাকে এখন যেতে হবে।
নিমিষেই রবি ছেড়ে দেয় ছায়ার কোমল হাতটিকে, সাথে সাথেই ছায়া হাটতে শুরু করে সামনের দিকে রবিকে পিছনে ফেলে। রবি চারদিকে তাকিয়ে দেখে খানিকটা অন্ধকার নেমে এসেছে ধরিনীতে। সূর্যটাও কখন যে অস্তে গেল টেরই পেলো না রবি। আঁধারের হালকা কুয়াশার মাঝে ছায়া মিলিয়ে যায়। সেখানেই স্থির ভাবেই দাড়িয়ে থাকে সে যেখানে ছায়ার হাত ছেড়ে দিয়েছিলো। তার মন বলছে ছায়া আবার ফিরে আসবে, ভাবতে ভাবতে দেখে জোত্স্নার আলোয় আলোকিত চারপাশ। একটি দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে রবিও ফিরে আসে আপন গন্তব্যে ছায়ার হাত ধরে।
-না'তো দেখিনি। তুমি দেখেছো ?
-না, আমিও দেখিনি তবে অনুভব করতে পারছি তোমার হাতের স্পর্শে।
-আমার হাতের স্পর্শে? কি বলছ তুমি এসব? আমার হাত যে তোমার হাতে বন্ধী।
-আমার হাতে তোমার হাত রয়েছে বলেই তো বুঝতে পেরেছি। ধমনীতে রক্ত সঞ্চালনের ধ্বনিই আমাকে জানিয়ে দিয়েছে তোমার বুকে কত উত্তাল ঝড় বইছে।
রবির শেষ কথাটি শুনে খানিকেই থমকে যায় ছায়া, এই মাত্র বুঝি সশব্দে বিস্ফোরিত হলো গোধুলির স্নিগ্ধ আলো বিলানো সূর্যটি। মুহূর্তেই অবরুদ্ধ অশ্রুর ফোয়ারা বইতে শুরু করে।
-আমাকে এখন যেতে দাও, আমি চলে যাবো।
অশ্রু মুছতে মুছতে বলে ছায়া।
-এই তোমাদের একটা সমস্যা, অল্পতেই চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরে, কিন্তু আমাকে দেখো এক ফোটা অশ্রুও ঝরেনি আজ অবধি, যন্ত্রণার তপ্তায় নিজেদের গুছিয়ে বরফ হয়ে তারা ভালই রয়েছে আজও।
-আমি এখন যেতে চাই, খানিক বাদে আঁধার নেমে যাবে, তুমিতো জানই আমি আঁধার নই আলোর সঙ্গী।
-হ্যাঁ, জানি বলেইতো বলছি' এখন তুমি যেতে পারবে না, সূর্যটি এখনো যে মাথার উপরে নীল আকাশকে রক্তাম্বর পরিয়ে দিব্যি হেসে যাচ্ছে। আঁধার নামার পূর্বে তুমি কিভাবে যাবে?
আবার ছায়া চুপসে গিয়ে হাঁটতে থাকে নাক বরাবর ধুলায়িত পথটি ধরে। কথার ফাঁকে কখন যে রবির হাতটি ছেড়ে দিয়েছে সে নিজেই টের পায়নি শুধু তার নিজের দ্রুত উঠানামা করা শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যাকুলতা ছাড়া। নিরবেই হেটে চলছে দু'জন, দু'জনের যেন একটিই আকাংখা, সূর্য ডোবার।
-কেমন আছো তুমি?
নিরবতা ভেঙ্গে দিয়ে ছায়া বললো।
-হা হা হা যাক শেষ বেলাতে এসে তাহলে জানতে চাইলেই কেমন আছি আমি! ভেবেছিলাম তুমি জানতে চাইবে না আমি কেমন আছি কারণ তুমিতো জানতেই সেই প্রথম থেকে আমি কেমন থাকবো। মনে আছে শেষ বারের পত্রটিতে তুমি বলেছিলে আমি নাকি অনেক ভালো থাকবো? আমি তোমার সেই বিশ্বাস আজও ভঙ্গ করিনি। আজও আমি তেমনি আছি যেমন তুমি চলে যাবার ঠিক পরমুহুর্তে ছিলাম।
-ভুলে যাওয়াই ভালো, যখন আর ফিরে যাওয়া যাবে না ফেলে আসা মুচড়ে যাওয়া দিনের কাছে। তখন কেনইবা আর মনে রাখা?
এই বলেই ছায়া চলে যেতে উদ্ধত্য হলে রবি তার হাতটি আচমকা শক্ত করে ধরে ফেলে। সাথে সাথে ক্ষুদ্ব হয়ে উঠে রবি। হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে যাওয়া রবি বুঝতেই পারেনি কোমল হাতের চুঁড়ি ভাঙ্গার শব্দ।
-তোমাকে না বললাম তুমি সূর্য ডোবার আগে যেতে পারবে না? তুমি কি বুঝতে পারোনি আমার কথা?? চুপ করে থাকো ব্যাস।
ছায়া পারলো না তার হাত থেকে নিজের কোমল হাতটি ছাড়াতে শুধু তাকিয়ে থাকলো ক্রোধে জ্বলজ্বল করা রবির চোখের দিকে।
-আমি চলে যাওয়ার পরও তুমি তোমার রাগকে দমাতে পারোনি? ভেবেছিলাম আমি চলে গেলে হয়তো ক্রোধের ইন্দ্রজাল থকে বেড়িয়ে আসতে পারবে তুমি, কিন্তু তুমি যে ঠিক আগের মতই রয়ে গেলে রবি। তোমার ক্রোধের পলিতে ভরাট নদীতে আমি সাঁতার কাটতে পারবোনা বলেই চলে গিয়েছিলাম।
-তুমি চাইলে কি পারতে না এই আগুনের ফুলকিকে তোমার শীতল বুকে নিয়ে ক্ষান্ত করে দিতে?
-আমি আর পুরোনো কথা মনে করতে চাইনা, আমার জন্য সবাই অপেক্ষা করছে আমাকে এখন যেতে হবে।
নিমিষেই রবি ছেড়ে দেয় ছায়ার কোমল হাতটিকে, সাথে সাথেই ছায়া হাটতে শুরু করে সামনের দিকে রবিকে পিছনে ফেলে। রবি চারদিকে তাকিয়ে দেখে খানিকটা অন্ধকার নেমে এসেছে ধরিনীতে। সূর্যটাও কখন যে অস্তে গেল টেরই পেলো না রবি। আঁধারের হালকা কুয়াশার মাঝে ছায়া মিলিয়ে যায়। সেখানেই স্থির ভাবেই দাড়িয়ে থাকে সে যেখানে ছায়ার হাত ছেড়ে দিয়েছিলো। তার মন বলছে ছায়া আবার ফিরে আসবে, ভাবতে ভাবতে দেখে জোত্স্নার আলোয় আলোকিত চারপাশ। একটি দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে রবিও ফিরে আসে আপন গন্তব্যে ছায়ার হাত ধরে।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন