শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

আধারের প্রহেলিকা

লিখাটি আমি শব্দনীড়ের লেখক শ্রদ্ধেয় মুরুব্বী ও মহাকালের প্রতিচ্ছবি কে উত্সর্গ করলাম। আমি লিখতে জানি না। দরজার ওপাশে দাড়িয়ে আমার হাতে কলম তুলে দিয়ে যারা আমাকে অনুপ্রানিত করে আসছেন সর্বক্ষণ তাদের এই দু'জনের নামে আমি আমার এই কবিতা লিখনের ক্ষুদ্র প্রয়াসটিকে উত্সর্গ করলাম। আমার শ্রদ্ধা জানবেন আপনার দু'জন।


পূর্ণতা পেত আমার দিনমান সাঝের মন্দানিলে
করে স্নান তিতাসের সুরেলা লহরীর ঝংকায়। 
আজ অপরূপ যন্ত্রনায় কাতর ক্রমশ নিজেকে গুটাচ্ছে 
স্রোতহীনতায় পর্যাকুল মানবকুল রয়েছে শংকায়।
কলংকের সাক্ষী হয়ে সূর্য অস্তে যায় নিদারুন কষ্টে,
মুগ্ধতা নিতে আসা আমি ক্রুশবদ্ধ আধারের প্রহেলিকায়। 

বিজয় মুকুট পরিহিত স্রোতসিনীতে ভাসে কলঙ্কিত কচুরীপানা
ভাসে অবয়ব সেই ধর্ষিত আত্মহননকারী কিশোরীর।
বালক মাঝির খেয়ায় জন্মদাতা পাড়ি জমায় ওপাড়ের বৃদ্ধাশ্রমে
ভাসে জল, পুত্র শোকে কাতর গর্ভধারিণীর অশ্রুবারির ।
বিশুদ্ধ বিবর্তনে গোলা-বারুদ উঠে আসে ধীবরের জালে,
পলিতে আধ ভরাট প্রবাহিনীতে ভাসে রাক্ষসী মত্সশরীর।

শত কলঙ্কের প্রতিচ্ছবি ধারণ করা এই মাতৃসম নদীর বক্ষে
প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকরে রমনী ছেড়ে দেয় নিষিদ্ধ বালকের হাত,
তলিয়ে যায় তটিনীর তলদেশে, হয়ে অসহায় কাপুরুষ।
নিশীথ তিমিরে খুঁড়ে প্রতিক্ষণে নুতুন মরণ নেশার ফাঁদ।
পরিশুদ্ধতা খুঁজে তিতাস, দূরের সরল তরুণ বৃক্ষটির পানে।
তার আকুলতায় মোর মনশ্চক্ষুর ছপ্পর ফুঁড়ে ভাঙ্গে বাঁধ।

তরঙ্গাকুল হৃদয় আমার,মহাকালের প্রতিচ্ছবি তুমি কোথায়?
দর্শাও তুমি পূর্বে রয়েছে যত তারুন্যের দহনে গত ক্রান্তিকাল।
হে মুরুব্বি দাও দিক নির্দেশনা রেসকোর্স ময়দানের ন্যয়।
বৈশাখী ঝড়ে উড়াব কলঙ্ক, তিতাসের পাড়ে জ্বালাব মশাল।
"বল বীর-
চির-উন্নত মম শির"
বক্ষে গেথেছি বিদ্রোহী কাব্য, তিতাসের বুকে আজ একাই উড়াব পাল।


0 মন্তব্য:

Facebook Comments by প্রহেলিকা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

 
Design by প্রহেলিকা