মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০১৪

প্রহেলিকার আত্মকথন-৪

রোষিত বাতাসের বিক্ষুব্ধতায় সচকিত মোড়ে ঝুলন্ত উর্বশী। কাঁচ জানালার স্বচ্ছতায় দেখি অনুক্ত শব্দের মিছিল তার চোখে। প্রত্যুষ পূর্বেই জেগে উঠা ঘোর কাটে মায়াবিষ্ট সপ্রতিভ দৃষ্টিতে। দেয়ালের স্থির চিত্রটি হঠাৎ স্বশব্দে নড়ে উঠে অশ্লীল শুন্যালয়ে। ক্রমশ বাড়তে থাকে দৃষ্টিক্ষুধার তপ্ততা। স্থিত হাসির মরিচিকায় দ্রবীভূত লবন স্তর, নিমিষেই স্পষ্টিত সহস্র যোজন দূরে দাঁড়িয়ে থাকা জ্যোৎস্নাহীন রাতে যুগল প্রণয়ের প্রতিবিম্ব। আমিও তাকিয়ে দেখি কত ব্যাকুলতায় আলো বিলিয়েছে জোনাকী! তর্জনীর ইশারায় দোদুল্যমান মেঘগুলো ঝরেছিলো বৃষ্টি হয়ে রৌদ্রদগ্ধ অবয়বে, সৃষ্টি হয়েছিলো শীৎকারের মহানাদ। অগ্নিকেতুর অস্বচ্ছতায় মত্ত হয়ে জড়িয়েছিলাম সেদিন; আর্দ্র ওষ্ঠের আড়ালে নিলীন সূর্যশিশিরের ইন্দ্রজালে। আজ অবোধেই চলি ছাঁয়াশুন্য পথ; পিছনে ফেলে রেখে প্রহেলিকার জলাশয়।

এভাবে আর তাকিও না হে উর্বশী, যদি দৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় নিরুদ্ধ জলপাহাড়, কক্ষভ্রষ্ট হয় নক্ষত্ররা। এক নিমিষেই যা অবতীর্ণ করে সংসর্পিত কল্পরাজ্যে পরক্ষণেই নিমজ্জিত করে অভাবিত এঁদো কূপে; এমন দৃষ্টির পালক আর না মেলেলই কি নয়?

1 মন্তব্য:

সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী বলেছেন...

দারুন!


ভাইয়া আপনার কবিতার পিডিএফ ফাইল দিতে বলেছিলাম। যদি সম্ভব হয়।

Facebook Comments by প্রহেলিকা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

 
Design by প্রহেলিকা