শুক্রবার, ২৩ মে, ২০১৪

জীবনান্বেষণ

কখনো কখনো কেউ ব্যাকুল হয়ে উঠে অনামক জীবনের খুঁজে,
অথবা নিরাকার আলিঙ্গনে নিতে স্বার্থকতার স্বাদ চোখ বুঁজে।
দেখি সুনির্দিষ্টতার শেকল পরে পঞ্চালিকার সকাতর নিস্তরঙ্গতা,
উজ্জ্বল বার্নিশে ঢেকে ব্যর্থতা, অনামুখে নিজের সাথেই শঠতা।
বর্ণচোরার রুপবাহুল্যে বিভোর হয়ে উঠে নিজেকে বিলাতে,
স্বপ্নকারের ধূর্ত নয়নে চায় যে অন্তর্বাহী সুখ চৈত্রের খরাতে।
অনুগ্রহের জলস্নানে চায় পুণ্যতার স্বীকৃতি, করে না সমর্পণ-
অপ্রতিম চাহনীতে, বইতে চায় না কোনো উপেক্ষার ভারার্পণ।
অশিথিল উৎসুক নয়নে প্রতি মুহূর্তে পারমানবিক বিস্ফোরণ,
তবুও খুঁজে জীবন, অরণ্য রোধন, অতঃপর আঁধারে আস্তরণ।

মা'য়ের শাসনবৃত্তে যখন বন্দী ছিলো কৈশোরের তুখোড়তা,
বাবার সুতীক্ষ্ণ দৃষ্টি যখন বয়ে এনেছিলো সাময়িক জড়তা,
মনে পরে সেদিন বলেছিলাম, জীবন তুমি কি ভবঘুরে হয়ে-
কাটানো পথিকের প্রতিবিম্ব? মলিন মুখে ঝরো উচ্ছ্বাস হয়ে?
নাকি কোনো পাঠকের শেষ অধ্যায়? অপূর্ণতার দীর্ঘশ্বাস?
জবাব দেয়নি, তাই করিনা অধ্রুব জীবনে সংস্কারে বিশ্বাস।
নিরবতার বিদ্রুপে ঘর্মাক্ত শরীর, উর্ধ্বগতিতে সময়ের রথ,
এখন শুধুই চাই সুপর্ণ বৃক্ষের ছাঁয়ায় হেঁটে যাবো সুদীর্ঘ পথ।
যদি কখনো সম্মুখে এসে দাঁড়ায় লোভাতুর দৃষ্টিতে ছদ্মবেশে,
তখনিই অঙ্কিত করবো বিজয়ের উপসংহার শূন্য ক্যানভাসে।

0 মন্তব্য:

Facebook Comments by প্রহেলিকা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

 
Design by প্রহেলিকা