তার নিঃসঙ্গ দেয়াল পেড়িয়ে
বেখেয়ালে মাড়িয়ে ঘাসের শিশির চলে এসো,
মৃত্যু ফুটিয়ে অপেক্ষার; কোন এক পোয়াতি আঁধারে-
নিঃসংকোচে গ্রহন করো
নিবিড় পরিচর্যায় লালিত অনুক্ত শব্দের মালিকানা।
চলে এসো হে মোহমায়া দিকভ্রান্ত বাতাসে
কোমর ছোঁয়া চুল সুবাসে ঘুম এঁকে দিও রাত জানালায়,
অবিন্যস্ত খোপাঁয় গুঁজে এক কবির সব উপমা
মৃদু টোকায় ভাসিয়ে দিও ঘরের শূণ্য কলস।
নির্ভয়েই এসো এক বিকালের প্রাণ হয়ে
রাতবর্ষার তান হয়ে,
হঠাৎ একদিন অবাক করা সংজ্ঞাহীন এক প্রেম হয়ে।
বিশ্বাসী হাত ধরে
পাঁজরের সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে এসো
শুষ্ক ঠোঁট পাবে অনায়াসে দখল করে নিও,
এক সমুদ্রের গর্জন তুলে
নীরবতায় জাগিয়ে দিও লবন চর প্রহরে প্রহরে।
উষ্ণ চুম্বনে সেঁকে নিও একাকিত্বের কষ্টে পোড়া শীতল রাত।
কাঁধবালিশে মাথা রেখে বুনে দিয়ে গাঢ় শ্বাস
ফলিয়ে নিও এক মৌসুমের শস্যদানা।